
আমদানি কার্যক্রম জোরদার ও নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। জাত ও মানভেদে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ১৭০-১৮০ এবং আমদানিকৃতটি ১৩০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। তবে এই দামও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন সাধারণ ভোক্তা ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, দাম আরও কমা উচিত। পেঁয়াজের পাশাপাশি চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও ডিমের দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লেও কমছে না সবজির দাম। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম হ্রাস পেয়েছে। ভোজ্যতেল, চিনি ও মাছ-মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। লবণের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, যাত্রাবাড়ী ও মুগদা বড় বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। রাজধানীর প্রায় প্রতিটি বাজারে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে নতুন উঠা পেঁয়াজ ও পাতা পেঁয়াজ। এছাড়া মিসর, তুরস্ক, চীন, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবি ‘ট্রাকসেল’ কার্যক্রম বাড়িয়েছে। প্রতিদিন বিমানে আসছে ১১০ মে. টন পেঁয়াজ। এছাড়া সমুদ্রপথে আনা হচ্ছে আরও ৬০ হাজার মে. টন। এই পেঁয়াজ শীঘ্রই চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জনকণ্ঠকে বলেন, পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহের মধ্যে নাগালের মধ্যে চলে আসবে। তিনি বলেন, নতুন পেঁয়াজ উঠছে। এছাড়া বিমানে করে পেঁয়াজ এনে বাজার সামাল দেয়া হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী পর্যায়েও বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করছি, এসব উদ্যোগের ফলে পেঁয়াজের দাম শীঘ্রই আরও কমে আসবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: