odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

জরুরী প্রয়োজন ছাড়া প্রবাসীদের দেশে না ফেরার আহবান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১২ March ২০২০ ২২:০৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১২ March ২০২০ ২২:০৯

 

ঢাকা, ১২ মার্চ, ২০২০ : জরুরী প্রয়োজন ছাড়া প্রবাসীদের দেশে না ফেরার আহবান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশে আছেন তারা দেশে না আসলে ভালো হয়। প্রবাসীদের প্রয়োজন ছাড়া দেশে আসার দরকার নেই। আসলে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে পাঁচটি থার্মাল স্ক্যানার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। সামিট গ্রুপ বিদেশফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সরকারকে পাঁচটি থার্মাল স্ক্যানার উপহার দিয়েছে।
করোনা আক্রান্ত তিন জন রোগী ভাল আছেন জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে যে দুজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের যেকোনো দিন রিলিজ দেওয়া হবে। আর যাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তারা সবাই অসুস্থ নন। আরও দুজন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তাদের শরীরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তারা করোনায় আক্রান্ত নয়।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার সতর্ক ও সজাগ রয়েছে। করোনা মোকাবিলা করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে ।
আগামী দু’দিনের মধ্য চট্টগ্রাম, সিলেট বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর ও বেনাপোল বন্দরে ১০টি নতুন স্ক্যানার বসানো হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিমানবন্দরে স্ক্যানারের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল, সেটা পূরণ হয়েছে। আমরা দুই মাস আগেই পাঁচটি স্ক্যানার অর্ডার দিয়েছিলাম, সেটা গত সপ্তাহে হাতে পেয়েছি। আজ সামিট গ্রুপ পাঁচটি দিয়েছে। ফলে বর্তমানে স্ক্যানার নিয়ে সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা প্রতিরোধের সব থেকে ভালো উপায় হলো আইসোলেটেড করে রাখা বা রোগীকে আলাদা করে রাখা। আমরা তিনটি কমিটি করেছি। তা দিয়ে জেলা পর্যায়েও আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, কোথাও কোনো রোগীর খোঁজ পাওয়া গেলে বা বিদেশ থেকে কোনো রোগী এলে তাদের ট্র্যাক করছি এবং ঘরে কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। তারা যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাদের নিয়ে আসছি হাসপাতালে। এভাবেই আমাদের কেসগুলো চিহ্নিত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে নতুন কোনো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালগুলোকে কোনো সার্ভে করা বা নিউমোনিয়া হলে করোনার টেস্ট হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে যারা আসছেন তাদের আমরা হাসপাতালে ভর্তি করছি। যাদের প্রয়োজন মনে হচ্ছে তাদের পরীক্ষা করছি করোনা আছে কিনা। পরীক্ষা করে দেখছি, যেখানে যখন প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে টেস্ট দিচ্ছি।
বিমানবন্দরে চারটি হেলপডেস্ক বসানো হলেও সেটা পর্যাপ্ত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিমানবন্দরে ১০ জন ডাক্তার ও ৩০ জন নার্স দিয়েছি। দুই ডেস্ক থেকে চারটি করা হয়েছে। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি, আপাততো তা ভালো। বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আরও বাড়াবো।
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের বড় বড় দেশ করোনা ভাইরাস নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। দুইমাস আগে থেকে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি, এজন্য এখনও সেভাবে সংক্রমন হয়নি। দেশের সবাই যার যার অবস্থান থেকে আমাদের সহযোগিতা করুন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দুর্যোগ থেকে আমাদের সোনার বাংলাকে বাঁচাতে পারব।
তিনি বলেন, যে লোকটি বিদেশ থেকে আসছেন জনগণ তাকে চিহ্নিত করছে। তাকে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হচ্ছে। দেশে করোনায় তিন জন আক্রান্ত। নতুন কোনো রোগী পাইনি। আমরা অনেককে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। যাদের করোনা ভাইরাস নেই, তাদেরকে আমরা ছেড়ে দিবো।
এ সময়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, সামিট গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. লতিফ খান, সামিট গ্রুপের পরিচালক আজিজা আজিজ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: