odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

মইনুল হোসেনের ওয়োজবোর্ড জালিয়াতি: ডিএফপি ডিজির নিকট সাংবাদিকদের স্মারকলিপি

gazi anwar | প্রকাশিত: ১৭ September ২০২০ ০৩:৫০

gazi anwar
প্রকাশিত: ১৭ September ২০২০ ০৩:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউনেশন পত্রিকার প্রকাশক  মইনুল হোসেনের জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নেয়া ৮ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ অনুযায়ী প্রদত্ত বিজ্ঞাপন রেট কার্ড বাতিল; ক্রোড়পত্র বন্ধ রাখা ও বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) এর মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়ার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন পত্রিকাটির সাংবাদিকরা।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), নিউ নেশন ইউনিটের পক্ষ থেকে আজ বুধবার ডিইউজে নিউ নেশন ইউনিট প্রধান হেমায়েত হোসেন এর নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিফ রিপোর্টার জয়নাল আবেদীন খান, সিনিয়র সাব এডিটর সৈয়দা ডলি ইকবাল, সিনিয়র রিপোর্টার গাযী আনোয়ার এবং সাবেক সার্কুলেশন ম্যানেজার আহছান উল্ল্যাহ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, জনাব মইনুল হোসেনের মলিকানাধীন দি নিউ নেশন পত্রিকায় মিথ্যা ঘোষণা, জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আপনার কার্যালয় থেকে ৮ম ওয়েজবোর্ডের রেট কার্ড ও নিউজ প্রিন্টের কোটা সুবিধা নিলেও অদ্যবধি উক্ত পত্রিকায় তা বাস্তবায়ন করেন নাই। দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত পত্রিকায় কমর্রত সাংবাদিক কর্মচারীরা ওয়েজবোর্ডের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নিউ নেশন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হলেও মালিক পক্ষ তা বরাবর অস্বীকার করে আসছেন এবং প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি টাকা পত্রিকা থেকে মালিক পক্ষ নিচ্ছেন। বর্তমানে করোনা মহামারীর সুযোগ নিয়ে সম্পাদকসহ ৯ জন সাংবাদিককে চাকুরীচ্যুতির ষড়যন্ত্র করছেন এবং প্রায় ৬ মাস যাবৎ কোন বেতন দিচ্ছেন না। এখন নামমাত্র সাংবাদিক দিয়ে পত্রিকা চালানোর পায়তারা করছেন। অথচ পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের পরিমান মোটেই কমেনি, বরং বেড়েছে এবং এই জুন ফাইনালে প্রায় ২ কোটি টাকা বিল বাবদ সংগ্রহ হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, নিউ নেশনের আয় থেকে মালিক পক্ষের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতাও দেয়া হয়। তাছাড়া, নিজস্ব প্রেস (নিউ নেশন প্রিন্টিং প্রেস) থেকে পত্রিকা ছাপা হলেও খরচ নেয়া হয়। অন্যদিকে, অফিস ভাড়াসহ সকল ইউটিলিটি বিল নিউ নেশনের আয় থেকে পরিশোধ করা হয়। মালিক পক্ষ এক পয়সাও সাবসিডি দেয় না। বরং পত্রিকাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন।

শুধু পত্রিকার আয়-ব্যয় দিয়ে লাভ লোকসান হিসাব করা নিউ নেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। নিউ নেশন রোববার পাবলিকেশনস লিঃ এর অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। রোববার পাবলিকেশন্স এর নামে তেজগাঁও শিল্প এলাকার মিডিয়া পল্লীতে প্রায় ১ (এক) বিঘা জমি সরকার থেকে বরাদ্দ নেয়া হয়েছে যার বাজার মূল্য ১০০ (একশত) কোটি টাকার উপর।

৮ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে), নিউ নেশন ইউনিট থেকে গত ০৭/০১/২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত ইউনিটের এক সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে মালিক পক্ষকে অনুরোধ করা হলে পত্রিকার প্রকাশক ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বার বার আশ্বাস দিলেও অদ্যবধি তিনি তা বাস্তবায়ন করছেন না বরং ওয়েজ বোর্ডের কথা বললে নানা অজুহাতে সাংবাদিক-কর্মচারীদের চাকরীচ্যুতির চেষ্টা করেন।

তাছাড়া পত্রিকাটির মালিক ভূয়া প্রচার সংখ্যা, শুল্কমুক্ত আমদানিকৃত কাগজ কালো বাজারে বিক্রি,  সাংবাদিক-কর্মচারি ভূয়া সংখ্যা এবং বাস্তবে দেওয়া বেতনের সাথে আপনার কার্যালয়ে দাখিলকৃত বেতন শিটের কোন মিল নেই। ৮ম ওয়েজবোর্ডের বর্ধিত হারে বিজ্ঞাপনের রেট কার্ড পেতে জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। রোববার পাবলিকেশনস লিঃ এর চেয়ারপার্সন সাজু হোসেন কর্তৃক ৮ম ওয়েজবোর্ড সংক্রান্ত মিথ্যা ঘোষণামূলক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্বাক্ষর পূর্বক আপনার দপ্তরে জমা দেয়া হয়। যাহা জালিয়াতি ও প্রতারণার শামিল।

পত্রিকাটির প্রকাশক ও দি নিউ নেশন প্রিন্ট্রিং প্রেসের মুদ্রাকর মইনুল হোসেন ছাপাখানা ও প্রকাশনা আইনের ১১ ধারা লংঘন করে বার বার বিদেশে গমন করেছেন। এ বিষয়ে সে বা তার মনোনীত প্রতিনিধি আপনার কার্যালয়কে অবহিত করার নিয়ম থাকলেও তা কখনো করেন নাই। যা আইনের চরম লংঘন এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য পত্রিকার ঘোষণাপত্র বাতিল করার স্পষ্ট বিধান রয়েছে। অতএব, এ আইন লংঘন করায় নিউ নেশনের ঘোষণাপত্র বাতিল হওয়া একান্ত প্রয়োজন। তাছাড়া, সে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক মাস জেলে ছিলেন সে সময়ও তার নামে পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে বলেস্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: