odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

দক্ষ মানবসম্পদ একটি দেশের উন্নয়নের চালিকা শক্তি : চসিক মেয়র

amaderodhikarpatra@gmail.com | প্রকাশিত: ২৪ December ২০২১ ০৯:০৩

amaderodhikarpatra@gmail.com
প্রকাশিত: ২৪ December ২০২১ ০৯:০৩

 

চট্টগ্রাম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতা দেশের তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান আর সৃজনশীল কিছু করার তীব্র আকাক্সক্ষাই পারে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও ই-কমার্স উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং সাবলম্বী হওয়ার সহজ উপায়। দক্ষ মানবসম্পদ একটি দেশের উন্নয়নের চালিকা শক্তি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মোহরা ইউসেপ কার্যালয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ই-কমার্সে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মেয়র বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরের ফলে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সব বয়সের নারী-পুরুষই ঘরে বসে কাজ করতে পারছে। করোনা মহামারিতে সময় নষ্ট না করে সরকারের লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় অনলাইন প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই উপার্জন করার সক্ষমতা অর্জন করেছেন। বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং পেশার সঙ্গে সংযুক্ত। তথ্য প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ায় দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে মেধা ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দিকে দেশকে এগিয়ে নিতে ফ্রি-ল্যান্সাররা আমাদের মূল কারিগর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়-এর অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করার ফলেই আজকে আমরা এই সুবিধা ভোগ করছি।
ইউসেপ-এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জয় প্রকাশ বড়–য়ার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র অফিসার আকরাম হোসেন সবুজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম, কাউন্সিলর কাজী নূরুল আমিন মামুন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ইউসেপ কালুরঘাট শিল্পাঞ্চলের আতাউর রহমান, লোকপ্রিয় বড়–য়া ও প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে প্রকৃতি চক্রবর্ত্তী, শ্রাবন্তী নাথ প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, ফ্রিল্যান্সিং নারীদের জন্য অনেক সুবিধাজনক। আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় নারীর বাহিরে চাকরি করতে অনেক সমস্যা। সে হিসেবে ঘরে বসেই একজন নারী ই-কমার্সের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে পরিবারকে সহায়তা করতে পারে। সেটা তার ভেতর অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি করে। আমাদের দেশে বর্তমানে ৮০ শতাংশ লোক ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ই-কমার্স মূলত নির্ভর করে প্লাটফর্ম এবং ওয়েবসাইট কতটুকু সুসজ্জিত তার ওপর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সবকিছু ঠিক থাকলেও পণ্যের গুণগত মান ও ক্রেতার কাছে সঠিক সময়ে প্রোডাক্ট পৌঁছানো। তাহলেই প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা সম্ভব হবে। মনে রাখতে হবে, স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার মানে এই নয় যে, ভোক্তা বা ক্রেতাকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। তাই সবাইকে এ ব্যাপারে তথ্য প্রযুক্তির নীতিমালা মেনে চলতে হবে। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকার রাখার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজকের এ প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি তোমাদের জীবনে অধিকতর সাফল্য বয়ে আনতে এবং কর্মময় জীবন বিকাশে নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে মেয়র প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: