ঢাকা | Monday, 20th October 2025, ২০th October ২০২৫

তানোরে সরকারী রাস্তার পরিপক্ব দুটি আম গাছ কর্তন

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১০ July ২০২৩ ০৫:০৯

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১০ July ২০২৩ ০৫:০৯

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে সরকারী রাস্তার পরিপক্ব দুটি আম গাছ কর্তন করেছেন হাজী নজরুল ইসলাম বলে অভিযোগ উঠেছে। পাচন্দর ইউনিয়ন ( ইউপির) চাদপুর গ্রামে ঘটেছে গাছ কাটার ঘটনাটি। আরো গাছ কেটে সীমানা প্রাচীর নির্মান করার জন্য গাছের শিকড় কেটে বেশ কিছু গর্ত তৈরি করলে গ্রামবাসীরা চেয়ারম্যান কে অবহিত করলে কাজ বন্ধ করে দেন। এর আগে নোনা পুকুর গ্রামের পুকুর পাড় থেকে মুন্ডুমালা তহসিল অফিসের নায়েব রবিউলের সহায়তায় আদিবাসিদের উচ্ছেদ করে পাড় দখল করেন। হাজী নজরুলের একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডে স্থানীয়রাও চরম ভাবে ক্ষুব্ধ।

সরেজমিনে দেখা যায়, চাদপুর থেকে কয়েল হাটের মুল রাস্তা, চাদপুর স্কুলে প্রবেশের রাস্তার পশ্চিমে মুল সড়কের দুটি পরিপক্ব আম গাছ কাটা হয়েছে। একটি গাছের গোড়া দেখা গেলেও আরেকটি গাছের গোড়ায় বালু দিয়ে ঢেকে রেখেছেন হাজি নজরুল। সেখানেই কিছু মহিলা ও পুরুষরা ছিলেন তারা জানান, গাছগুলো সরকারী রাস্তার। কিন্তু হাজী সব ঘিরে রেখেছেন। গাছ কাটার সময় নিষেধ করলে সাব জানিয়ে দেয় আমার গাছ কাটব না কি করব সেটা আমার ব্যাপার। আমি নায়েবের অনুমতি নিয়েই গাছ কেটেছি। বেশি বাড়াবাড়ি করলে মামলা দিয়ে দিব। রাস্তা ঘেষে অনেকগুলো আমের গাছ ও বিশাল গর্ত করা হয়েছে এবং গর্ত করার জন্য গাছের শিকড় উপরে ফেলেছেন হাজী নজরুল।
এলাকাবাসী আরো জানান, যে সব গাছ কাটা হয়েছে তার কয়েক ফিট বেশি জায়গা সরকারের। কিন্তু হাজী নিজের বলে সব দাবি করছেন।
হাজী নজরুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তা সরকারের না, আমার। সরকারের না আপনি কিভাবে জানলেন জানতে চাইলে তিনি জানান মাপজোক করে নায়েব বলেছে। গাছ কাটলেন কার অনুমতিতে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন, আমার জায়গার গাছ এজন্য কেটেছি, সীমানা প্রচীর দিব বলে নায়েবকে অবহিত করা হয়েছে এবং চেয়ারম্যান কাজ বন্ধ করে মাপজোক করার পর কাজ শুরু করতে বলেছেন। এসব কিছুই না স্থানীয় কিছু ব্যক্তিরা টাকা চেয়েছিল না দেওয়ার কারনে এসব করছেন।
তবে মুন্ডুমালা তহসীল অফিসের নায়েব রবিউল ইসলাম বলেন, আমি কাউকে গাছ কাটতে বলিনি। আপনি অভিযোগ দেন ব্যবস্থা নিব, আমি কেন অভিযোগ দিব, আমি আপনার বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দিয়েছে প্রশ্ন করা হলে এর কোন সদ উত্তর না দিয়ে দেখছি বলে কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: