odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 15th November 2025, ১৫th November ২০২৫

নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে প্রধান ফটকে তালা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২০ January ২০২৫ ১৬:১৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২০ January ২০২৫ ১৬:১৩

ইবি প্রতিনিধি:

যেকোনো দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রধান ফটক আটকিয়ে আন্দোলনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসন। এ নিয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু এক মাস পেরোতেই আবারও দাবি আদায়ে প্রধান ফটকে তালা দেওয়া শুরু হয়। আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) শ্রেণিকক্ষের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা দেয় ইসলামের ইতিহাস ও সস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসন তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে এক ঘণ্টার পর তালা খুলে দেয় তারা। এদিকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস যেতে না দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ে অন্য শিক্ষার্থীরা। ফটকে তালা দিয়ে দাবি আদায়ের অপসংস্কৃতির অবসানের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাস সূত্রে, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ নিয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম। একপর্যায়ে রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের সামনে উভয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়।


এদিকে আরবী বিভাগের শিক্ষার্থীরা তৃতীয় তলার পুরো ফ্লোর নেওয়ার দাবি জানায় এবং ইতিহাস বিভাগকে চতুর্থ তলায় যাওয়ার আহ্বান করেন। কিন্তু ইতিহাস বিভাগ তা না মেনে তৃতীয় তলার অর্ধেক নেওয়ার দাবি জানায়। একপর্যায়ে তারা উদ্ভুত সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য উপ-উপাচার্য এয়াকুব আলীকে তোপের মুখে ফেলেন। পরে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রশাসন ভবনে নিয়ে যান। 


পরবর্তীতে বিকেল ৪ টায় ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করেন। বিকেলের সিডিউলের বাস আটকে রেখে প্রশাসনকে চাপে ফেলেন তারা। পরবর্তীতে এক ঘণ্টা পর দাবি আদায় হলে ফটক ছাড়েন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

এ ঘটনায় ক্যাম্পাসের ভেতরে আটকে পড়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মেরুদন্ডহীনতার কারণে বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিছু শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সকলকে অবরুদ্ধ করতে পরে না। 


ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, একটা ডিপার্টমেন্ট তাদের কিছু দাবি নিয়ে এখানে প্রধান ফটকে তালা দিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ৩৫ টা ডিপার্টমেন্ট আছে। অনেকে সকাল থেকে না খেয়ে আছে। গেইট আটকিয়ে অন্যদের হয়রানি করে দাবি আদায় কোনো যৌক্তিক পন্থা হতে পারে না। যেখানে প্রশাসন থেকে গেইট আটকাতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। তারপরও গেইট আটকিয়ে অন্যদের যে ক্ষতি করছে তার দায়ভার কে নিবে? একটি বিভাগের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের সাথে কথা বলুক। দাবি আদায় না হলে প্রশাসন ভবনে তালা দিক। মেইন গেইটে তালা দেওয়া একটা অযৌক্তিক বিষয় ও একটা বাজে চর্চা। এটা যতদ্রুত সম্ভব বন্ধ করা উচিত।

আল ফিকাহ এন্ড লিগাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম বলেন, বিভাগের ইস্যু নিয়ে মেইন গেইটে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলার মানে হয় না। তাদের যৌক্তিক দাবি থাকলে ভিসি স্যারের রুম কিংবা প্রশাসন ভবনে গিয়ে করুক। আমাদেরকে হয়রানিতে ফেলার তাদের অধিকার নাই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পরও এমনটা করা দুঃখজনক। আজ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি বসবো। সবকিছু বিবেচনা করে তারপর এবিষয়ে আবার যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: