odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

ইসলামি সংস্কৃতি বিকাশে সরকার বহুমাত্রিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৮ February ২০২৫ ১৮:১৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৮ February ২০২৫ ১৮:১৮

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইসলামি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ চর্চা ও বিকাশে বর্তমান সরকার বহুমাত্রিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সে লক্ষ্যে সারাদেশে ইসলামি মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে।

আজ শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁওয়ে মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় শিশু কিশোর ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৫ সালের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ দেশে বিগত সময়ে ইসলামি সংস্কৃতির চর্চাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হতো উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ধর্মকে কেন্দ্র করে একটি রাষ্ট্রে কোনো প্রকার বৈষম্য চলতে দেয়া যাবে না। আজকের এই শিশু-কিশোরই আগামী দিনের জাতির কর্ণধার। তারাই দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আগামী দিনের তরুণরা এ দেশের চেহারা বদলে দিবে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতির পরিধি অনেক বিস্তৃত। জনগণের বিশ্বাস, রাজনীতি, জীবন-জীবিকা, পোশাক, আচরণ, আদব-কায়দা এসব কিছু মিলেই একটি দেশের সংস্কৃতি। মসজিদের মিনার, মায়ের মুখের ভাষা এ সবই সংস্কৃতির অংশ।

উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতার আদলে খুব শিগগিরই ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় হিফজ ও সিরাত প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে। সৌদি আরবের মতো সিরাত পুরস্কার প্রবর্তন করারও পরিকল্পনা রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রতি বছর আমাদের প্রতিযোগীরা কুরআন তিলাওয়াত, হিফজ, সিরাত, কিরাতসহ নানা ইসলামি প্রতিযোগিতায় সাফল্য বয়ে আনে। তাদের ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকেই বাছাই ও মনোনয়ন দেয়া হয়ে থাকে। আমাদের দেশের মেয়েরা সব স্থানে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীরা আজ উচ্চপদে আসীন হচ্ছেন। তাই আমাদের মা-বোনদের ইসলামি সংস্কৃতিতে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে তাদের মাধ্যমে সমাজ ব্যবস্থা বদলে যাবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আ. ছালাম খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সমন্বয় বিভাগের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক, প্রকল্প পরিচালকরা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকরা ও ওলামায়ে কেরামরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালের ক্বিরাত, হামদ-নাত, আজান, উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, ইসলামি জ্ঞান ও রচনা প্রতিযোগিতা এই সাতটি বিষয়ের প্রতিযোগিতায় দু’টি গ্রুপের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজয়ী মিলিয়ে মোট ৬২জন বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে রৌপ্যপদক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এছাড়া দু’জন বিজয়ীকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

এর আগে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা প্রতিযোগী নির্বাচন করা হয়। এরপর তাদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: