odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫
বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে নেপাল এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করলো বাংলাদেশি সংস্থা ইউএস-বাংলা

বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে নেপাল এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করলো বাংলাদেশি সংস্থা ইউএস-বাংলা

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৪ March ২০১৮ ০৩:৪৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৪ March ২০১৮ ০৩:৪৯

 

 

নেপালি উদ্ধারকারী দল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স-এর বিমানের ধ্বংসাবশেষ খতিয়ে দেখেছে।ছবির কপিরাইটPRAKASH MATHEMA
Image captionনেপালি উদ্ধারকারী দল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স-এর বিমানের ধ্বংসাবশেষ খতিয়ে দেখেছে।

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত পুরোদমে শুরু হবার আগেই দায়দায়িত্ব নিয়ে অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগ শুরু হয়ে গিয়েছে।

কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের গাফিলতিকে দায়ী করছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স।

এয়ারলাইন্সটি বলছে, তাদের বৈমানিক বেঁচে আছেন এবং বৈমানিকদের দিক থেকে কোন ত্রুটি ছিলোনা বলেই মনে করছেন তারা।

অন্যদিকে, নেপাল কর্তৃপক্ষ পাইলটকেই দোষারোপ করছে।

নেপালে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতম বলেছেন, বিমানটিকে দক্ষিণ দিক থেকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এটি নামে বিমানবন্দরের উত্তর দিক থেকে।

''বিমানটির অস্বাভাবিক এই অবতরণের কারণ সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত করে এখনও কিছু বলতে পারছি না,'' - বলেন তিনি।

ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সিইও আসিফ ইমরান বলেন, দুর্ঘটনার আগে বিমানের ক্যাপ্টেন ও কাঠমান্ডু এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বা এটিসি-র মধ্যেকার কথোপকথন তারা পেয়েছেন এবং সেটি ইউটিউবেও পাওয়া যাচ্ছে।

এক সময় তার মোবাইল থেকে তিনি সেই কথোপকথনের কিছুটা শোনান।

"নেপাল কাঠমান্ডু টাওয়ারের গাফলতি ছিলো পাইলটদের ভুল বার্তা দেয়ার। সে কারণেই দুর্ঘটনাটি হয়েছে,'' - তিনি বলেন।

মিঃ ইমরান বলেন, পাইলটদের সাথে এটিসি টাওয়ারের ল্যান্ডিংয়ের আগের কথোপকথনে ছিলো রানওয়ের কোন দিক থেকে পাইলট ল্যান্ড করবেন।

''তিন মিনিটের মধ্যে আমাদের পাইলটকে বিভিন্ন বার্তা দেয়া হয়েছে। এ বার্তা দিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা হতে পারে বলে আমি মনে করছি,'' - মিঃ ইমরান বলেন।

''পাইলটদের বিভ্রান্ত করেছে ভুল রানওয়েতে নামার জন্য।''

কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর নিরাপত্তা সপ্তাহ পোস্টারের সামনে একজন অপেক্ষমাণ যাত্রী।ছবির কপিরাইটPRAKASH MATHEMA
Image captionকাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর প্রতি বছর নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করলেও দুর্ঘটনা বিরল নয়।

যদিও নেপালে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতম বলেছেন, বিমানটিকে দক্ষিণ দিক থেকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এটি নামে বিমানবন্দরের উত্তর দিক থেকে।

এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নেপালের গণমাধ্যম বলছে, দুর্ঘটনার আগে বিমানটি অদ্ভুত আচরণ করেছে।

এ সব কারণে প্রশ্ন ওঠে যে পাইলটদের তরফ থেকে কোন ত্রুটি ছিলো কি-না। তবে ইউএস বাংলার সিইও এ ধরনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, "ক্যাপ্টেন আবিদ হাসান জীবিত আছেন। উনি এয়ারফোর্সে ছিলেন আগে। এ ফ্লাইটের তিনি একজন প্রশিক্ষক। কথোপকথন শোনার পর আমাদের মনে হচ্ছেনা যে আমাদের পাইলট কোন ভুল করেছে। আপনারা যদি কথোপকথন শোনেন বা যে কোন বোদ্ধাই একথা বলবে।''

এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ থেকে একটি সাহায্যকারী দল পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন।

সিঙ্গাপুর সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী এক ভিডিও বার্তায় তিনি হতাহতের জন্য শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

ওদিকে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে তারা তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন এবং দলটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাঠমান্ডু গিয়ে তদন্ত শুরু করবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: