মোহাম্মদ সালাহ্: যার সাফল্য মুসলমানদের ফুটবলের সাথে সম্পৃক্ত করছে
ছবির কপিরাইটGETTY IMAGES
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে মেসুত ওজিল, মৌজা ডেম্বলে, রিয়াদ মাহরেজ, পল পগবা ও মোহাম্মদ সালাহ্'র মত মুসলিম ফুটবলাররা খেলেন।
মাঠে এই ফুটবলারদের নানা ধরণের ধর্মীয় আচার পালন করতে দেখা যায়। বিশেষত খেলা শুরুর আগে দোয়া করা কিংবা গোল দেয়ার পর তা নিয়ে আনন্দ প্রকাশের সময়।
মোহাম্মদ সালাহ্ চলতি প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে ২৩ গোল করেছেন। তার ধর্মীয় মূল্যবোধ অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখা যাচ্ছে, বিশেষত লিভারপুলের সমর্থকদের জন্য।
যেমন, মাঠে সমর্থকদের শোনা গেছে সালাহ্কে উদ্দেশ্য করে সমবেত কণ্ঠে গাইতে, "যদি সে তোমার জন্য ভাল হয় তবে সে আমার জন্যও ভাল। যদি যে আমাদের হয়ে আরো কিছু গোল করে তবে আমরা মুসলিম হতেও রাজি। যদি সে তোমাদের জন্য ভাল হয় তবে সে আমার জন্যও ভাল। যদি সে মসজিদে যায় তবে আমিও রাজি সেখানে যেতে।"
টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় লিভারপুলের ভক্তরা এই গানে গলা মিলিয়েছেন। এমনকি যারা লিভারপুল ফ্যান নন তারাও এই ভিডিওর প্রশংসা করেছেন।
এভাবে মো সালাহ্ 'আমিও মুসলিম হবো' এই সঙ্গীতকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
মিশরের রাজধানী কায়রোর কাছে যে শহরে মো সালাহ্'র জন্ম সেখানে এই গানটির মূলত মুক্তি পায়। তখন সালাহ্'র বয়স চার বছর।
সে তখন এই গানটি না শুনলেও, এখন নিশ্চিতভাবে শুনে থাকবেন।
মূলধারার গণমাধ্যম এই ভিডিওটি প্রচার করেছে বহুলভাবে।
লিভারপুল ক্লাবের একজন সদস্য আসিফ বদি এই গানের বার্তা পছন্দ করেছেন। তার মতে, সালাহ ও এই ভিডিওটি লিভারপুলে প্রভাব ফেলেছে।
লিভারপুলে ১৮৮৭ সালে উইলিয়াম কুইলিয়াম প্রথম ইংলিশ হিসেবে মুসলিম হন এবং সেখানে তিনি ইসলামিক কেন্দ্র ও মসজিদ খোলেন।
মি. বদি অ্যানফিল্ডে নিয়মিত আসেন। তার মতে সালাহ্ যেভাবে খেলছেন তাতে সে নি:সন্দেহে লিভারপুলে মুসলিম ভক্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করছেন।
শুধু তাই নয়, ১০ বছর বয়সী এক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ভক্তও লিভারপুল সমর্থন করছেন গানটি শোনার পর।
২০১৭ সালে মো সালাহ্ বিবিসি'র বর্ষসেরা আফ্রিকান ফুটবলার নির্বাচিত হন।
ছবির কপিরাইটASIF BODI
সালাহ্'র মত ওজিলও নিজের ধর্ম নিয়ে গর্ববোধ করেন। মাঠেও সেটা প্রদর্শন করেন।
ওজিল বলেন, "আমি মুসলিম এবং আমি এটা বিশ্বাস করি। আপনি দেখবেন খেলার আগে আমি প্রার্থনা করি, আমি এটা করে তৃ্প্তি পাই। এটা আমাকে শক্তি যোগায়।"
ছবির কপিরাইটGETTY IMAGES
আর্সেনালের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসীদের জন্য প্রার্থনা কক্ষও আছে।
খেলার সময় যাদের প্রার্থনা করার সময় হয় তারা সেখানে প্রার্থনা করেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: