
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | অধিকার পত্র ডটকম
পূর্ব জেরুজালেমের মালে আদুমিম বসতিতে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বললেন, “এই ভূমি আমাদের” — এবং ঘোষণা দিলেন, “আমরা কোনও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অনুমতি দেব না।” তার এ বক্তব্য নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
মধ্যপ্রাচ্য সংকটে নতুন উত্তেজনা:
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও সরাসরি ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে নাকচ করে দিচ্ছেন। পূর্ব জেরুজালেমের অবৈধ বসতি মালে আদুমিমে সফরের সময় তিনি বলেন:
“আমরা কোনও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না থাকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চলেছি। এই ভূমি আমাদের।”
বসতিস্থল থেকে প্রতীকী ঘোষণা:
নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য আসে এমন এক সময়, যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।
কিন্তু তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রের সম্ভাবনা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে বললেন:
“আমি এখানে এসেছি মালে আদুমিমে, যাতে আমি একটি পরিষ্কার বার্তা দিতে পারি: এই ভূমি চিরকাল ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলেরই থাকবে।"
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
নেতানিয়াহুর এ বক্তব্যের পরপরই মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল ফিলিস্তিনিদের প্রতি চরম অবজ্ঞা নয়, বরং আন্তর্জাতিক কূটনীতির ওপরও সরাসরি আঘাত।
- জাতিসংঘ বহুবার পূর্ব জেরুজালেমের বসতিগুলোকে অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে।
- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ দুই-রাষ্ট্র সমাধান সমর্থন করে আসছে।
- এই ঘোষণায় দুই-রাষ্ট্র সমাধানের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
বসতি নির্মাণ ও দখলদারিত্ব:
মালে আদুমিম বসতিটি পশ্চিম তীরের একটি প্রধান ইসরায়েলি বসতি, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত।
নেতানিয়াহু এই জায়গায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিয়ে কার্যত আন্তর্জাতিক আইন ও শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি বিদ্রূপপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের প্রতিক্রিয়া:
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নেতানিয়াহুর বক্তব্যকে ‘উসকানিমূলক’ ও ‘চূড়ান্ত দখলবাদের ঘোষণা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
পিএলও’র এক মুখপাত্র বলেন:
“নেতানিয়াহু শান্তির পথে প্রতিটি দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন। এটা সরাসরি জাতিসংঘের প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর “কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে না” — এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়িত্ব এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি—শান্তি প্রতিষ্ঠার বাস্তবসম্মত ও ন্যায়সঙ্গত উপায় খুঁজে বের করা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: