
অধিকার পত্র ডেস্ক:
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত হলে বাস্তবিক অর্থেই বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষিত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রাণী ও প্রাণের মিলন মেলা’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “গণতন্ত্রের সঙ্গে যেমন মানুষের অধিকারের সম্পর্ক, ঠিক তেমনি বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে পশুপাখি ও বন্যপ্রাণীর অধিকারের সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে প্রাণী সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্যও নিরাপদ থাকে।”
তিনি আরও বলেন, প্রাণীর অধিকার কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, বরং এটি মানুষের সুস্থ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য। এ সময় তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, শহর ও নগরে ব্যাঙের নিরাপদ আবাসস্থল না থাকায় এডিস মশার বিস্তার বেড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংঘের (IUCN) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১,৬০০ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩৯০টি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং হাতির সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে বলে তিনি জানান।
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে প্রাণী কল্যাণ আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনসহ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিদ্যমান আইনসমূহ সময়োপযোগী করে সংস্কার করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ, সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চিত্রনায়ক আদনান আজাদ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: