odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৬ September ২০২৫ ২৩:৫৬

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৬ September ২০২৫ ২৩:৫৬

এশিয়া কাপ ১৭তম আসরের ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সুপার ফোরে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ৩ ম্যাচ ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠল টাইগাররা। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে শ্রীলংকা। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আফগানিস্তান। এই গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলংকা জিতলে, সুপার ফোরে উঠবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তান জিতলে রান রেট বিবেচনায় আসবে।

আবু ধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে ৪০ বলে ৬৩ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও সাইফ হাসান। এর মধ্যে আফগানিস্তান পেসার ফজলহক ফারুকির করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৪টি চারে ১৬ রান নেন তানজিদ।

আফগানিস্তান স্পিনার এএম গাজানফারের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ২টি ছক্কায় ১৯ রান তুলে বাংলাদেশের রান ৫০এ নেন তানজিদ।

পরের ওভারে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন আফগানিস্তান স্পিনার রশিদ খান। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮ বলে ৩০ রান করা সাইফকে বোল্ড করেন রশিদ।

তিন নম্বরে নেমে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক লিটন দাস। দলীয় ৮৭ রানে লিটন ফেরার পর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তানজিদ। ২৮ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করে স্পিনার নূর আহমাদের শিকার হয়ে ৫২ রানে থামেন তিনি। ৩১ বলের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি মারেন তানজিদ।

তানজিদের বিদায়ে ক্রিজে এসে ২টি চারে শুরু করেও ১১ বলে ১১ রানের বেশি করতে পারেননি শামীম হোসেন। রশিদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে লেগ বিফোর আউট হন শামীম। তানজিদ-শামীমের বিদায়ের মাঝেও অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তাওহিদ হৃদয়। এতে ১৮ ওভারেই ১৩৯ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

১৯তম ওভারে পেসার আজমতুল্লাহ ওমরজাইর প্রথম ডেলিভারিতে সাজঘরের পথ ধরেন ১টি করে চার-ছক্কায় ২০ বলে ২৬ রান করা হৃদয়। এরপর ইনিংসের শেষ ১১ বলে ২টি চারে ১৫ রান যোগ করেন জাকের আলি ও নুুরুল হাসান। এতে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান পায় বাংলাদেশ। এবারের এশিয়া কাপে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রান ।

জাকের ১৩ বলে ১টি চারে ১২ এবং নুরুল ২ চারে ৬ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। আফগানিস্তানের দুই স্পিনার রশিদ ২৬ রানে এবং নূর ২৩ রানে ২টি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ স্পিনার নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে পড়ে ১৮ রানে ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। তৃতীয় উইকেটে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও গুলবাদিন নাইবের ৩৩ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করে আফগানরা। কিন্তু ১১ রানের ব্যবধানে এই জুটি বিদায় নিলে আফগানিস্তানের হাল ধরতে পারেননি কোন ব্যাটার।

গুরবাজ ৩৫ ও নাইব ১৬ রানে আউটে পর বাংলাদেশের উপর চড়াও হন ওমরজাই। কিন্তু ১৬ বলে ৩০ রান করে ওমরজাই ফেরার পর হারের মুখে ছিটকে পড়ে আফগানিস্তান। শেষ দিকে রশিদের ১১ বলে ২০ ও নূরের ৯ বলে ১৪ রানে হারের ব্যবধান কমায় আফগানরা। ২০ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।

বল হাতে বাংলাদেশের মুস্তাফিজ ৩টি, নাসুম-তাসকিন ও রিশাদ ২টি করে উইকেট নেন। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ২শতম ম্যাচ খেলতে নেমে গুরুত্বপূর্ণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ১৫৪/৫, ২০ ওভার (তানজিদ ৫২, সাইফ ৩০, নূও ২/২৩)।

আফগানিস্তান : ১৪৬/১০, ২০ ওভার (গুরজাব ৩৫, ওমারজাই ৩০, মুস্তাফিজ ৩/২৮)।

ফল : বাংলাদেশ ৮ রানে জয়ী।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: