odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২

সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থতার শঙ্কায় আন্দোলনে জামায়াত: ব্যাখ্যা দিলেন সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৯

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৯

ঢাকা, অধিকারপত্র

জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। আলোচনা চলমান থাকলেও কেন মাঠে নামা হলো, সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি বলেন, “আমরা আলোচনার টেবিলে যাচ্ছি, কিন্তু সেই আলোচনায় সফলতার কোনো ইঙ্গিত পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে সরকার চাপের মুখে পড়ে জনগণকে শুভংকরের ফাঁকি দেখাচ্ছে। তাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরতেই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।”

বিক্ষোভ শেষে একটি মিছিল জিপিও মোড় থেকে শুরু হয়ে পল্টন, জাতীয় প্রেসক্লাব ও হাইকোর্টের সামনে দিয়ে মৎস্য ভবন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে জামায়াতের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন।

আন্দোলনের কারণ

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা চললেও সংস্কার বাস্তবায়ন প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দল প্রায় অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিএনপিসহ কয়েকটি দল এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও জামায়াত মনে করে নির্বাচন-পূর্ব সংস্কার না হলে ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করতে যে সংস্কার প্রয়োজন তা নির্বাচনের আগে না হলে বর্তমান কাঠামোয় আরেকটি স্বৈরশাসন জন্ম নেবে।”

দাবিসমূহ

জামায়াতের পাঁচ দফা দাবি হলো—

  1. জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।
  2. সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক (PR) নির্বাচন ব্যবস্থা চালু।
  3. অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
  4. অতীতের গণহত্যা, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারী শাসনের বিচার
  5. জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

সমাবেশে দলের অন্যান্য নেতারা বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিতে হতে হবে। অন্যথায় জনগণ রাজপথ থেকে ফিরবে না।

অন্যান্য দলের কর্মসূচি

একই দিনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি ও জাগপাসহ আরও ছয়টি দল রাজধানীতে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ করে। ফলে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে তীব্র যানজট দেখা দেয়, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: