
ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (অধিকার পত্র ডটকম):
ইউরোপের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থার বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, সার্বিয়ায় নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যর্থতার পেছনে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা, রক্ষণশীল প্রতিক্রিয়া এবং ডিজিটাল অপব্যবহার উদ্বেগজনকভাবে বাধা সৃষ্টি করছে।
যদিও দেশটি ২০১৩ সালে ইউরোপ কাউন্সিলের ইস্তাম্বুল নারী অধিকার কনভেনশন অনুমোদন করেছে এবং পরবর্তী সময়ে আইন ও জাতীয় কৌশল গ্রহণ করেছে, তবুও কার্যকর পরিবর্তন দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রুপ অব এক্সপার্টস অন অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন অ্যান্ড ডমেস্টিক ভায়োলেন্স (GREVIO) জানিয়েছে, প্রচলিত লিঙ্গগত স্টেরিওটাইপ এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতাকে স্বাভাবিক করে তুলছে।
বিক্ষোভে নারীদের লক্ষ্যবস্তু
সাম্প্রতিক সময়ে সার্বিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীরা হামলার শিকার হয়েছেন।
- এক ঘটনায় এক ছাত্রীর অশ্লীল ছবি অনলাইনে প্রকাশ করে টিভি চ্যানেলেও প্রচার করা হয়, শুধু মাত্র তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনায়।
- আরেক ঘটনায়, সরকার সমর্থকদের আক্রমণে এক নারী গুরুতর আহত হয়ে ভাঙা চোয়াল নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
মানবাধিকার ও এনজিওতে চাপ
প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিকের সরকারের নাগরিক সমাজ গোষ্ঠী ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর দমননীতি নারী সহায়তা পরিষেবাগুলোতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এনজিওগুলো সীমিত সম্পদ নিয়ে কাজ করছে এবং নারী অধিকার বিরোধী গোষ্ঠীর নিয়মিত চাপে রয়েছে।
সেবা সংকট ও আইনি দুর্বলতা
প্রতিবেদন অনুসারে, সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত সংকট কেন্দ্রের অভাব নারীদের মানসিক সহায়তা ও ট্রমা কেয়ারের সুযোগকে সীমিত করেছে।
এছাড়া অভিযোগকারী নারীরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে গেলে অনেক সময় স্পর্শকাতরতা ও পেশাদারিত্বের ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একজন বিশেষজ্ঞ ২০২৪ সালে জানিয়েছিলেন, সার্বিয়ায় নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এখনো ‘স্থানীয় সমস্যা’ হিসেবে রয়ে গেছে এবং পদক্ষেপ অত্যন্ত ধীরগতির।)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: