odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২

“রাশিয়া–চীন নতুন সামরিক চুক্তি: তাইওয়ানে আগ্রাসনের প্রস্তুতি?”

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৩৬

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৩৬

অধিকারপত্র ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট 

রাশিয়া এবং চীন একটি গোপন সামরিক সহযোগিতা চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার আওতায় রাশিয়া চীনকে বিশেষ প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ দেবে যা গুণগতভাবে চীনের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে পারে, বিশেষ করে তাইওয়ানের প্রতি আগ্রাসনের বিকল্প পরিকল্পনায়।

রাশিয়া চীনকে এয়ারবর্ন বাহিনী প্রশিক্ষণ ও সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে

চীনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এই উন্নয়ন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ

যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানসহ প্রতিবেশি দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া শুরু

চুক্তির মূল উপাদান ও প্রভাব

নয়োমিত তথ্যসূত্র অনুযায়ী, রাশিয়া চীনকে আধুনিক এয়ারবর্ন (হালকা বাহিনীকে দ্রুত আক্রমণ-প্রক্ষেপণ) প্রযুক্তি সরবরাহ করবে এবং চীনা প্যারাট্রুপারদের প্রশিক্ষণ দেবে। এই প্রযুক্তিগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে পারে হালকা ট্যাঙ্ক, এন্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র ও পরচালিত সিস্টেম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ চীনের সামরিক সক্ষমতা দ্রুত বিস্তারে সহায়ক হবে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের সম্ভাব্য অভিযানের পরিকল্পনাকে জোরদার করতে পারে। সাম্রাজ্যিক দিক থেকে, রাশিয়া প্রচলিত অস্ত্র ও প্রযুক্তি পণ্য বিক্রির মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত মেয়াদে চীনকে আরও নির্ভরশীল করবে।

আঞ্চলিক ও গ্লোবাল প্রতিক্রিয়া

এই ঘোষণা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশগুলো এ সিদ্ধান্তকে অগ্রিম আক্রমণাত্মক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখছে। এ চুক্তির ফলে চীনের আগ্রাসন পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়নযোগ্য হলে মহাদেশীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিপজ্জনক মাত্রায় দাঁড়াতে পারে।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেয়নি, তবে সাধারণভাবে তারা বলেছে যে যৌথ সামরিক অনুশীলন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর “প্রতিরক্ষা” উদ্দেশ্যে করা হবে, আক্রমণাত্মক নয়।

সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যতের নির্দেশ

গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়া ও চীন তাদের “সীমাহীন কৌশলগত অংশীদারিত্ব” ঘোষণা করেছে। যদিও প্রথাগতভাবে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক চাপে তারা একে অপরের প্রতি নির্ভরশীলতার দিকে এগোচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি চীনের সামরিক আধুনিকায়নে সময়সূচি ৫–১০ বছর এগিয়ে দেবে এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশদের কৌশলগত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: