odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 15th November 2025, ১৫th November ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টাকে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিতে বললেন রাশেদ খান

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৩০ September ২০২৫ ২৩:৫১

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৩০ September ২০২৫ ২৩:৫১

অধিকারপত্র ডেস্ক :

ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ – গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস চাইলে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন।” তিনি এই মন্তব্য করেছেন ফেসবুকে প্রকাশিত এক পোস্টে।
রাশেদ খান আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ মাসে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে তারা কাজ করেছেন, এখন পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিক। সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের নামে বিপ্লবী জনগণের চোখে ধুলা দিয়ে লাভ কী?”
পোস্টে তিনি একটি পত্রিকার ফটোকার্ডও যুক্ত করেছেন, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে বৈধ, তবে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। যেকোনো সময় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

রাশেদ খানের মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া ও বিতর্ক চলমান। সরকারপন্থী ও বিরোধীপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোও ড. ইউনূসের রাজনৈতিক অবস্থান ও প্রভাব নিয়ে নানা মত প্রকাশ করে আসছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশেদ খানের মন্তব্য সরাসরি কোনও রাজনৈতিক কৌশলের অংশ নাও হতে পারে, তবে এটি আওয়ামী লীগের ভিতর ও বাইরে নেতৃত্ব ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত বহন করে।

প্রতিক্রিয়া

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এই মন্তব্যকে বিদ্রূপ বা স্যাটায়ার হিসেবে দেখেছেন।

কেউ কেউ এটিকে ক্ষমতাসীন দলকে চাপে ফেলার রাজনৈতিক সিগন্যাল হিসেবে মনে করছেন।

অন্যদিকে, সরকারপন্থী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টরা মন্তব্যটিকে অবাস্তব ও অপ্রাসঙ্গিক হিসেবে নাকচ করেছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের মন্তব্যে তিনটি সম্ভাব্য দিক থাকতে পারে

নৈতিক চাপ সৃষ্টি – বর্তমান নেতৃত্বের উপর নৈতিক প্রশ্ন তুলে ধরা।

জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানো – সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও দুর্নীতির অভিযোগ থেকে ফোকাস সরানো।

ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের সংকেত – দল ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবনা ছুড়ে দেওয়া। 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: