
খাগড়াছড়ি, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (মঙ্গলবার)
খাগড়াছড়িতে মারমা এক কিশোরী ধর্ষণ ও পরবর্তী বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ৪১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা এসব দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো বাহিনীই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। দায়মুক্তির সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে এ ঘটনার দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে হবে।
যৌথ বিবৃতিতে উত্থাপিত ৯ দফা দাবি
১. ধর্ষণ মামলার দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত
২. সংঘর্ষ ঘটনায় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন
৩. আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড বন্ধ ও বাহিনীর জবাবদিহি নিশ্চিত করা
৪. নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন
৫. পাহাড়ে সামরিকীকরণ নীতি পর্যালোচনা
৬. পাহাড়ি জনগণের নিরাপত্তা ও সহাবস্থান নিশ্চিত করা
৭. অযাচিত গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করা
৮. তথ্য প্রবাহ ও সংবাদমাধ্যমে স্বচ্ছতা রক্ষা
৯. নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বিচার ব্যবস্থায় আস্থা ফিরিয়ে আনা
নাগরিক সমাজের বক্তব্য
৪১ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “পাহাড়ের জনগণের ন্যায্য অধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”
মানবাধিকার খাগড়াছড়ি ৯ দফা দাবি নাগরিক সমাজের বিবৃতি পাহাড়ি জনগণের অধিকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ খাগড়াছড়ি ধর্ষণ মামলা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: