odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫
অস্ত্রোপচারের সময় প্রসূতির গর্ভের সন্তানকে দ্বি-খণ্ডিত করার অভিযোগে কুমিল্লার জেলা সিভিল সার্জন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আর অস্ত্রোপচারকারীসহ পাঁচ চিকিৎসককে তলব করেছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট।

সিজারে গর্ভের সন্তানকে দ্বি-খণ্ডিত করার অভিযোগে কুমিল্লার পাঁচ চিকিৎসকসহ সাতজনকে হাইকোর্টে তলব

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৫ March ২০১৮ ২০:১০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৫ March ২০১৮ ২০:১০

সিজারে গর্ভের সন্তানকে দ্বি-খণ্ডিত করার অভিযোগে কুমিল্লার পাঁচ চিকিৎসকসহ সাতজনকে হাইকোর্টে তলব

বাংলাদেশ হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)বাংলাদেশ হাইকোর্ট 

অস্ত্রোপচারের সময় প্রসূতির গর্ভের সন্তানকে দ্বি-খণ্ডিত করার অভিযোগে কুমিল্লার জেলা সিভিল সার্জন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আর অস্ত্রোপচারকারীসহ পাঁচ চিকিৎসককে তলব করেছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট।

৪ঠা এপ্রিল হাইকোর্টে হাজির হয়ে তাদের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে হবে।

সম্প্রতি দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর আইনজীবী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আদালতের নজরে আনলে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন।

জুলেখা বেগম নামের ওই প্রসূতির স্বামী সফিক কাজীর সঙ্গে কথা বলেছেন কুমিল্লার স্থানীয় সাংবাদিক সাঈদ মাহমুদ পারভেজ।

সফিক কাজীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বিবিসিকে জানান, প্রসব বেদনা নিয়ে তার স্ত্রী জুলেখা বেগম গত ১৭ই মার্চ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন তার অস্ত্রোপচার হয়। তার মৃত সন্তান হয়েছে বলে জানানো হয়। পরে হাসপাতালের একজন দারোয়ান মৃত নবজাতককে কবর দেয়ার জন্য তার কাছে ৫০০টাকা চান। এ সময় তিনি দেখতে পান যে, মৃত শিশুটির মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।

তার স্ত্রীর জরায়ুও কেটে ফেলা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে বিবিসির কথা হয় কুমিল্লার সিভিল সার্জন মোঃ মুজিবুর রহমানের সাথে। তিনি বিবিসিকে বলেন, ''মুরাদনগর থেকে পেটে মৃত বাচ্চা নিয়েই গত সপ্তাহে জুলেখা নামের ওই রোগী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময় শিশুটির হাত এবং পা জরায়ুর বাইরে চলে এসেছিল।''

তিনি বলেন, ''বাচ্চা দ্বিখণ্ডিত করার অভিযোগটি সত্যি নয়। বাড়িতে তার প্রসব করানোর চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু মাথাটি ভিতরে আটকে থাকায় তারা পারেনি। পরে তলপেট কেটে, জরায়ু কেটে বাচ্চাটির মাথা বের করতে হয়েছে। এ সময় মাকে বাচাতে জরায়ুটিও ফেলে দিতে হয়েছে।''

মাকে বাঁচানোর জন্য বিকল্প পথ ছিল না বলেও তিনি দাবি করেন।

এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে হাইকোর্টের রুলে।

সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, কুমিল্লার সিভিল সার্জন, মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের পরিচালক, অস্ত্রোপচারে অংশ নেয়া চিকিৎসকদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২৫শে অক্টোবর কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুরে লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক প্রসূতির একটি বাচ্চা বের করে আনা হয়। কিন্তু আরেকটি বাচ্চাকে টিউমার মনে করে সেলাই করে দেয়া হয়।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে পেটে থাকা মৃত বাচ্চাটিকে বের করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: