অধিকারপত্র.কম–
ঢাকা, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ (১৫ কার্তিক ১৪৩২)
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নীতি প্রণয়নে নমনীয়তা, সময়োপযোগী সমন্বয় ও নাগরিক দায়িত্ববোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “নীতি যদি সঠিক হয়, তাহলে উদ্যোগ সঠিক জায়গায় পৌঁছায়; আর ভুল নীতিতে সবকিছু মাঠে মারা যায়।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫–এর বিজয়ী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, “এই প্রতিযোগিতা এক ধরনের নীতিনির্ধারণ অনুশীলন। ভবিষ্যতে তোমরাই দেশের নীতি নির্ধারণ করবে—সরকারে, ব্যবসায় কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে।”
তিনি আরও বলেন, “যারা নীতি তৈরি করে, তাদের পুরো প্রেক্ষাপট বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যেমন একজন চিকিৎসক রোগ নির্ণয়ের পর প্রেসক্রাইব দেন, তেমনি নীতিনির্ধারকদেরও জানতে হয়, সিদ্ধান্তের ফল কী হবে।”
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নীতি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ইউনূস বলেন, “দুনিয়া বদলে গেলেও যদি পুরনো নীতিতে আটকে থাকি, তাহলে তা কোনো কাজে আসবে না।”
নাগরিক দায়িত্ব প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নাগরিক মানে মালিক। তাই মালিক হিসেবে আমাদের অধিকার আছে জানতে—নীতি সঠিক পথে যাচ্ছে কি না। ভুল দিকে গেলে সোচ্চার হতে হবে। নাগরিক যদি চুপ থাকে, তাহলে কিছুই সোজা হবে না।”
অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থীরা তাদের নীতি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ইউনূস সকল অংশগ্রহণকারীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “চিন্তা করো— নীতিটা তোমার ক্ষেত্রে ঠিক হচ্ছে কি না, দেশের ক্ষেত্রেও ঠিক হচ্ছে কি না। এটাও নাগরিক দায়িত্ব।”

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: