আন্তর্জাতিক ডেস্ক | অধিকার পত্র ডটকম
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি বারবার লঙ্ঘিত হলেও চুক্তি ভেঙে পড়া ঠেকাতে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কাতার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জাসেম আল-থানি এ তথ্য জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাতারি প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিদিনই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হচ্ছে। আমরা মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে স্থাপন করা অপারেশন রুমে প্রতিটি ঘটনা নথিভুক্ত করছি। যুদ্ধবিরতি টিকে রাখতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।''
তিনি আরও বলেন, গাজায় শান্তি বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক বাহিনীর উপস্থিতি প্রয়োজন হলে তাদের ভূমিকা পরিষ্কারভাবে নির্ধারিত হতে হবে। “আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি উভয় পক্ষকে নিরাপত্তা দেওয়া, যেন কেউ কারও জন্য হুমকি না হয়,” যোগ করেন তিনি।
সংঘাত নিরসনে কাতারের ভূমিকা
বিশ্বসংঘাত নিরসনকে কাতার তাদের কূটনৈতিক দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করে উল্লেখ করে আল-থানি বলেন, “প্রতিটি দেশের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে ভূমিকা থাকা উচিত। আমরা বিরোধপূর্ণ পক্ষগুলোর মধ্যে সংলাপের ক্ষেত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।”
কাতারের আকার ছোট হলেও সংঘাত নিরসনে ধাপে ধাপে ভূমিকা নেওয়ার কথা তিনি উল্লেখ করেন। তার ভাষায়, “আমাদের কাজ ধৈর্য, বিশ্বাসযোগ্যতা ও সত্যবাদিতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।”
ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কাতার
ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার সমালোচনার জবাবে কাতারি প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইরান আমাদের প্রতিবেশী দেশ। মাত্র ১৫০ মাইল দূরে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র আমরা ভাগাভাগি করি। তাই সম্পর্ক রাখা স্বাভাবিক।”
তিনি বলেন, “আমরা অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বা পারমাণবিক উত্তেজনা চাই না। তাই কাতার সবসময় কূটনীতিকে সমর্থন করে।”
যুক্তরাষ্ট্র-কাতার সামরিক সম্পর্ক
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাতারের সামরিক সহযোগিতার বিনিময়ে বিমান উপহার দেওয়ার দাবি নাকচ করে তিনি জানান, “এটি সরকার-টু-সরকার চুক্তি। কাতার-যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিনের কৌশলগত মিত্র।”

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: