গাজা সিটি, ৬ নভেম্বর ২০২৫:
ইসরায়েলের বিধ্বংসী হামলা ও অবরোধে যখন গাজা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে, তখনও বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয় হয়ে আছে ভূমধ্যসাগর। এই সাগরই আজ গাজার হাজারো জেলের জীবনের একমাত্র অবলম্বন।
মূল তথ্য:
‘দ্য বিস্ট’ নামে পরিচিত গাজার জেলে সালেম আবু আমিরা প্রতিদিন জীবন বাজি রেখে সমুদ্রে নামেন পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে। তিনি বলেন, “আমাদের সমুদ্রে যেতে দেওয়া হয় না আগের মতো, বড় মাছও আর ধরা পড়ে না। কিন্তু না গেলে তো সন্তানদের না খেয়ে থাকতে হবে।”
ইসরায়েলি অবরোধ ও যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজার মৎস্যশিল্প প্রায় নিশ্চিহ্ন। যুদ্ধের আগে যেখানে প্রতি বছর ৪,৬০০ টনের বেশি মাছ ধরা হতো, এখন সেই পরিমাণ কমে গেছে প্রায় ৯৪ শতাংশ। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০০ জেলে নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজার সমুদ্র অঞ্চলকে “নিষিদ্ধ এলাকা” ঘোষণা করে মাছ ধরা, সাঁতার বা সমুদ্রপথে যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। ফলে বহু জেলে এখন তীরে বসে বেকারত্ব আর ক্ষুধার সঙ্গে লড়ছেন।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য:
গাজার মৎস্যজীবী কমিটির প্রধান জাকারিয়া বকর আল জাজিরাকে বলেন, “জেলেরা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছে। অনেকে এখন আর ডাইভিংয়ের সরঞ্জামও পাচ্ছেন না, ফলে তাদের উপার্জন একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।”
অন্যদিকে সালেম আবু আমিরা জানান, “আমি চাই আমার সন্তানরাও এই পেশা শিখুক। মাছ ধরা শুধু পেশা নয়, এটা আমাদের সংস্কৃতি, আনন্দ আর টিকে থাকার শেষ ভরসা।”
ইসরায়েলের অবরোধে ধ্বংস গাজার মৎস্যশিল্প। তবুও পরিবার বাঁচাতে জীবন বাজি রেখে সমুদ্রে নামছেন সালেম আবু আমিরা। পড়ুন গাজার জেলেদের হৃদয়বিদারক গল্প অধিকারপত্র.কম-এ।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: