odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

১৩ নভেম্বর ঘিরে উত্তেজনা, সোমবার থেকে শুরু বড় অভিযান

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৭ November ২০২৫ ২৩:৫৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৭ November ২০২৫ ২৩:৫৭

অধিকারপত্র ডটকম, প্রকাশিত: শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫ | 

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সম্ভাব্য রায় ঘোষণার তারিখ ১৩ নভেম্বর। এ দিনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকা ও সারাদেশে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বিশৃঙ্খলা, লকডাউন, হামলা ও অগ্নিসংযোগের আশঙ্কাসহ নানা তথ্য। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই, তবুও এসব তথ্যকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

নিরাপত্তা জোরদার, অভিযান শুরু সোমবার থেকে

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন ইউনিট ইতোমধ্যে আভিযানিক কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রতিটি ক্রাইম ডিভিশনে বাড়ানো হয়েছে তল্লাশি ও নজরদারি। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
১০ নভেম্বর থেকে দেশজুড়ে বড় আকারের অভিযান শুরু হবে।

পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও মাঠে থাকবে বলে জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি

পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান—

“১৩ নভেম্বর ঘিরে কোনো দল বা গোষ্ঠীর বড় কোনো পরিকল্পনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার হচ্ছে, আমরা সেটিকে হালকাভাবে নিচ্ছি না। চেকপোস্ট বাড়ানো ও তল্লাশি কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, ১০ নভেম্বর থেকে অভিযান আরও জোরদার হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ছয়জন, শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত আরও তিনজনকে আটক করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্র দাবি করছে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পরিকল্পনায় যুক্ত ৩১ জনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ।

ডিবি কমিশনারের বক্তব্য

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন নজরুল ইসলাম বলেন,

“১৩ নভেম্বর ঘিরে আমরা ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি। এসব তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে। জনগণকে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।”

তিনি আরও জানান, কিছু সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার থাকলেও এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বিশেষ নজরদারি ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা

গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ১৩ নভেম্বরকে সামনে রেখে ‘বিশেষ তালিকা’ তৈরি করা হয়েছে যেসব ব্যক্তি নাশকতা ঘটাতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেই তালিকা ধরে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

১০ নভেম্বর থেকে ঢাকার প্রবেশপথ, আবাসিক হোটেল, মেস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলে বিশেষ তল্লাশি অভিযান শুরু হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে।

র‌্যাবের প্রস্তুতি

র‌্যাব আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এমজেডএম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন,

“আমাদের গোয়েন্দা ও সাইবার মনিটরিং টিম সক্রিয় আছে। সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি না থাকলেও র‌্যাব সদস্যরা প্রস্তুত। ১০ নভেম্বর থেকে মাঠপর্যায়ে টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে।”

তিনি জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ছক তৈরি করা হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: