নিউজ রিপোর্ট | নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্ষমতাচ্যুত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মানবতাবিরোধী অপরাধী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে কিছু শিক্ষক যে বিবৃতি দিয়েছেন—তা বাতিল ও তাদের চাকরিচ্যুতির দাবিতে দেশের চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। তারা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষকদের চাকরি থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়েছে।
চার কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের যৌথ বিবৃতি
মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন—
► ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস এস এম ফরহাদ
► জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) জিএস মাজহারুল ইসলাম
► চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) জিএস সাঈদ বিন হাবিব
► রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) জিএস সালাউদ্দিন আম্মার
বিবৃতিতে বলা হয়—
► ‘বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ’ নাম ব্যবহার করে শেখ হাসিনার পক্ষে দেওয়া বিবৃতি জনগণকে বিক্ষুব্ধ করেছে।
► ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
► রায়ে উল্লিখিত হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া সম্পূর্ণ ন্যায়সংগত।
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত, ক্লাস-পরীক্ষা বয়কটের আহ্বান
ছাত্রসংসদগুলোর দাবি—
► আদালত কর্তৃক মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত একজন ব্যক্তির পক্ষে বিবৃতি দেওয়া রায়ের প্রতি সরাসরি অবমাননা।
► বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত বিবৃতিদাতা শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু করতে হবে।
► শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান—উক্ত শিক্ষকদের ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কট করতে হবে এবং সামাজিক–একাডেমিক পরিসরে প্রতিহত করতে হবে।
বিবৃতি ঘিরে বিতর্ক
এর আগে সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব আলম প্রদীপ অস্ট্রেলিয়া থেকে উক্ত বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠান।
তবে অনেক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন—
► তাদের অনুমতি ছাড়াই নাম যুক্ত করা হয়েছে।
► বিবৃতিটি তারা সমর্থন করেন না।
এই প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার পক্ষে বিবৃতি দেওয়া শিক্ষকদের নিয়ে চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদের আল্টিমেটাম, তদন্ত দাবি, বয়কটের আহ্বান ও বিবৃতি–সংক্রান্ত বিতর্ক তুলে ধরা হয়েছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: