odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 19th November 2025, ১৯th November ২০২৫

২২ বছরের জেদ ভাঙল লাল-সবুজ! মোরসালিনের গোলে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৮ November ২০২৫ ২৩:৪৫

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৮ November ২০২৫ ২৩:৪৫

জাতীয় ক্রীড়া প্রতিবেদক | স্পোর্টস ডেস্ক

বাংলাদেশ অবশেষে ভাঙল দুই দশকের জেদ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়েছে লাল-সবুজ। একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন তরুণ তুর্কি শেখ মোরসালিন। আর গোল না করেও পুরো ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ‘হৃদযন্ত্র’ হয়ে খেলেছেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ডিফেন্সমিডফিল্ডার হামজা দেওয়ান চৌধুরী


ম্যাচের শুরুতেই স্বপ্নের লিড

গত ২২ বছর ধরে ভারতের বিপক্ষে জয়ের দেখা পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। তবে শিলংয়ে গোলশূন্য ড্রয়ের পর এই ম্যাচে ছিল প্রতিশোধেরও বার্তা। ম্যাচের ১১তম মিনিটেই বাঁ–দিক দিয়ে রাকিব হোসেনের দারুণ ক্রসে গোলকিপারের সামনে থেকে টোকা মেরে বল জালে পাঠান মোরসালিন। স্টেডিয়ামজুড়ে তখন একটাই সুর— “বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!”


রক্ষণে ‘মান অব দ্য ম্যাচ’–সুলভ হামজা

বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার পর বাকি সময়টা ভারত আক্রমণে চেপে ধরে। আর সেই সময় বাংলাদেশকে ভরসা দেন হামজা
৩১তম মিনিটে গোলরক্ষক মিতুল ভুল পজিশনে চলে গেলে প্রায় নিশ্চিত গোল থেকে দলকে বাঁচান তিনি। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া লালিয়ানজুয়ালার শট গলার কাছে এসে পৌঁছার আগেই হেড করে ক্লিয়ার করেন হামজা—স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে।

৪৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষ বক্সের বাইরে থেকে তার শট অল্পের জন্য বার ঘেষে বাইরে যায়—নাহলে রোমাঞ্চ আরও বাড়ত।


ক্ষোভ, কার্ড, আর উত্তেজনার ৯০ মিনিট

৩৪তম মিনিটে তপু বর্মণ ও ভারতের বিক্রমের সংঘর্ষ থেকে তৈরি হয় উত্তেজনা। হাতাহাতির পরিস্থিতিতে দুজনকেই হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
বিরতির পর কোচ কাবরেরা রক্ষণাত্মক কৌশলে যান—যা ভারতকে আক্রমণে আরও জায়গা দেয়।
৬৯ মিনিটে জায়ান আহমেদ চোটে পড়েন, ৭০ মিনিটে তুলে নেওয়া হয় গোলদাতা মোরসালিনকে। তবে বদলি হিসেবে নেমেও খেলার গতি ধরে রাখেন তাজ উদ্দিন ও শাহরিয়ার ইমন।

৭৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন শাকিল আহমেদ তপু, কিন্তু তার নিচু শট গুরপ্রিত সিং সান্ধু সহজেই ধরেন।


শেষ বাঁশিতে ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান

শেষ মুহূর্তে ভারত মরিয়া চেষ্টা চালালেও ডিফেন্সে শেষ প্রহরীর ভূমিকায় ছিলেন হামজা–তপু–রিয়াদরা। একের পর এক ক্লিয়ারেন্সে ভারতের সব আক্রমণ আটকে দেন।
শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে কাঁপে জাতীয় স্টেডিয়াম—২০০৩ সালের পর আবার ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ


ইতিহাসের পাতায় আরেকটি নতুন গল্প

২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মতিউর রহমান মুন্নার গোল্ডেন গোলের পর আজকের জয় নতুন ইতিহাস লিখল। এশিয়ান কাপের মূলপর্বে যাওয়ার পথ বন্ধ হলেও ভারতের বিপক্ষে এই বিজয় বাংলাদেশের ফুটবলে আত্মবিশ্বাসের নতুন আলো ছড়িয়ে দিল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: