odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 20th November 2025, ২০th November ২০২৫
৩৫ বছর পর রায়ের অপেক্ষা! বিচার পায়ের শিকল—জাগেশ্বরের জীবনের শেষ আশা এখন শুধু পেনশন

জুলাইয়ের ফোনালাপকে কেবল রাগের বাগিয়ে বলা সম্ভব; তা সরাসরি হত্যার আদেশ প্রমাণ করে না।

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৯ November ২০২৫ ২৩:৫৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৯ November ২০২৫ ২৩:৫৮

 

বিচারে অবিচার: বছরের পর বছর আদালতে কাটিয়ে এখন পেনশনের টাকা পাওয়াই একমাত্র চাওয়া জাগেশ্বর প্রসাদ অওধিয়ার


 

বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরে বিচারপ্রক্রিয়ার ধীরগতিকে কেন্দ্র করে আবারও সামনে এলো দেশের বিচারব্যবস্থার মানবিক সংকট। জাগেশ্বর প্রসাদ অওধিয়ার জীবন কেবল ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়—এটি আমাদের বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘদিনের জট, দেরি ও অবিচারের এক নির্মম প্রতিচ্ছবি।

জাগেশ্বর প্রসাদ অওধিয়া বলেন, “এটা শুধু আমার জীবনের ট্র্যাজেডি না। পুরো বিচার ব্যবস্থার চেহারাই এখানে ফুটে ওঠে—যে ব্যবস্থা আবার বলে, বিচারে বিলম্ব মানেই অবিচার। কেউ যৌবন হারায় আদালতে, কেউ বার্ধক্য। আর যখন রায়ের ফয়সালা আসে, তখন অনেক কিছুই শেষ হয়ে গেছে।”

দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পর জীবনের শেষ দিকে এসে তাঁর সবচেয়ে বড় চাওয়া খুবই সাধারণ—সরকার যেন তাঁর পেনশন ও বকেয়া পরিশোধ করে দেয়।

জীবনভর পরিশ্রমের পর বার্ধক্যে এসে কারও দ্বারে হাত পাততে না হয়—এটাই তাঁর শেষ প্রত্যাশা। বিচারব্যবস্থার ধীরগতির কারণে একজন মানুষের পুরো জীবন কীভাবে ক্ষয়ে যায়, তার বাস্তব উদাহরণ আজ জাগেশ্বর প্রসাদ অওধিয়া।

আইন-বিচারে বিলম্ব দেশের কোটি মানুষের মতো তাঁরও জীবনে ছাপ ফেলেছে। এখন তিনি শুধু চান—ন্যায্য পাওনা বুঝে নিয়ে জীবনের শেষ সময়টুকু মর্যাদার সঙ্গে কাটাতে।


 

#বিচারে_বিলম্ব #ন্যায়বিচার #পেনশন #জাগেশ্বর_অওধিয়া #বিচারব্যবস্থা #OdhikarpatraDotCom



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: