বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম
এশিয়ার চার দেশ—ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় টানা ভারী বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসে প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক কয়েক দিনের উজাড় বর্ষণে হাজারো পরিবার ঘরছাড়া হয়ে পড়েছে এবং বহু এলাকা এখনো পানির নিচে।
অধিকাংশ প্রাণহানি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কায়। সোমবার উত্তর সুমাত্রায় পৌঁছে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে “যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা পাঠানো।” দেশটির কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে দুটি হাসপাতাল জাহাজ ও তিনটি যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠিয়েছে। অনেক সড়ক এখনো বিচ্ছিন্ন থাকায় হেলিকপ্টার ও বিমানযোগে সহায়তা পৌঁছানো হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রার নানা গ্রামে পানি নামলেও অনেক ঘরবাড়ি, ফসল ও গাড়িতে পুরু কাদার স্তর জমে রয়েছে। সেখানকার স্থানীয়রা জানান, ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।
এদিকে শ্রীলঙ্কায় সাইক্লোন ‘ডিটওয়া’র ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে শ্রীলঙ্কা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে। বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোতে সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার দিয়ে আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ করছে। উদ্ধারকাজ চলাকালে জরুরি অবতরণে শ্রীলঙ্কা বিমানবাহিনীর এক পাইলট নিহত হয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, “আমরা আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি। নিশ্চয়ই আমরা আগের থেকেও ভালো একটি দেশ গড়ে তুলব।”
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি অঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও বাজার এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। হাজারো মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
চার দেশে মোট ৯৫৪ জনের প্রাণহানি নিশ্চিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা আ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: