বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম
খুলনা | ১ ডিসেম্বর ২০২৫
খুলনায় আট দলের যৌথ বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, “ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন। প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা চলছে।” শিববাড়ী মোড়ে সোমবার বিকেলে আয়োজিত এই সমাবেশে তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি এবং দুঃশাসনে সাধারণ মানুষের জীবন today অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
জামায়াত আমির অভিযোগ করেন,
“চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। আগের চেয়ে চাঁদার রেট বেড়েছে। বিনিয়োগকারী থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী—কেউ শান্তিতে নেই।”
তার দাবি, কোনো ইসলামী দলের নামে কখনো চাঁদাবাজির তকমা জোড়া যায়নি।
সমাবেশে তিনি আরও সতর্ক করে বলেন,
“বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে—জনগণ ভোট দিক বা না দিক ক্ষমতায় যেতেই হবে—এমন পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু বাংলাদেশে এটা আর হবে না।”
পাঁচ দাবির কথাও তুলে ধরেন তিনি
৮ দল যে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে—তার মধ্যে রয়েছে:
- জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা
- প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন
- জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট
- দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বন্ধ
- রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন
বিচার ব্যবস্থা নিয়েও সমালোচনা
শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ধনী ও প্রভাবশালীদের পক্ষে ঝুঁকে আছে। তিনি দাবি করেন,
“গ্রাম আদালত থেকে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত টাকা ছাড়া বিচার পাওয়া যায় না।”
অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেন,
“বাংলাদেশ এখন দুই ভাগ—’৭২ এর বাকশালপন্থী আর ২০২৪ সালের বিপ্লবপন্থী।”
তিনি দাবি করেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট করতেই হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করীম বলেন,
“তিনটি লক্ষ্য—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার—কোনোটাই বাস্তবায়িত হয়নি।”
বক্তারা দাবি করেন, ৮ দল ক্ষমতায় গেলে দেশে চাঁদাবাজি থাকবে না এবং জনগণের ঐক্য কেউ ভাঙতে পারবে না

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: