ঢাকা | ২ ডিসেম্বর ২০২৫
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা সাম্প্রতিক ইউএনও পদায়নের প্রজ্ঞাপনকে ‘ঘোলাটে ও প্রহসনমূলক লটারি’ আখ্যা দিয়েছে জেএসএফ। সংগঠনটির অভিযোগ—
তথাকথিত লটারির মাধ্যমে ৩৭তম বিসিএসের ১৬৬ জনকে ইউএনও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়
একইসঙ্গে ৩৫ ও ৩৬ ব্যাচের ১৫৮ জন ইউএনওকে প্রত্যাহার করা হয়
এতে আওয়ামীমনা ও ফ্যাসিবাদী ঘরানার কর্মকর্তাদের ঢাকা ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় বসানো হয়েছে
এর নেপথ্যে রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইংয়ের একটি শক্তিশালী ‘সিন্ডিকেট গ্রুপ’
জেএসএফ বলছে, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ পতনের পরও এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আবার একই শক্তি পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে, যা জুলাই শহিদদের আত্মত্যাগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য
বাপসনিউজকে দেওয়া বক্তব্যে জেএসএফ সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন বলেন,
“লটারির নামে যা করা হয়েছে, তা আসলে পূর্ব-পরিকল্পিত সিন্ডিকেট বাণিজ্য। জনপ্রশাসনের এপিডি উইং থেকে বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কিছু সুবিধাবাদী কর্মকর্তার মাধ্যমে।”
তিনি আরও দাবি করেন—
- বদলি ও পদায়ন বাণিজ্যে ফাইল অনুমোদন, এসএসবি তথ্য ব্যবহারে লবিং, অর্থনৈতিক লেনদেন এবং
- রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে
সংগঠনটির ভাষ্য অনুযায়ী, এই সিন্ডিকেট শুধু জনপ্রশাসন নয়, বরং স্বরাষ্ট্র, অর্থ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়েও প্রভাব বিস্তার করেছে।
ইউএনও পদায়নে বিতর্কিত অভিযোগ
জেএসএফের দাবি অনুযায়ী, সাম্প্রতিক প্রজ্ঞাপনে একাধিক আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ও ফ্যাসিবাদী আমলের সুবিধাভোগী কর্মকর্তা ইউএনও হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় পদায়ন পেয়েছেন।
সংগঠনটির দাবি—এমন ২০ জনের বেশি কর্মকর্তার তথ্য ও প্রমাণ তাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
সিন্ডিকেট ভাঙার উপায় (জেএসএফের প্রস্তাব)
- পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন
- স্বচ্ছ ও লিখিত নীতিমালা
- শক্তিশালী জবাবদিহিতা
- রাজনৈতিক সদিচ্ছা
- জনচাপ ও গণমাধ্যম তদারকি
এই পাঁচটি ধাপ একসঙ্গে কার্যকর হলে সিন্ডিকেট ভেঙে পড়বে বলে দাবি সংগঠনটির।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: