odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পরে মোট ৮ কোটি ৭০ লাভ গ্রাহকের তথ্যচুরির খবর নিশ্চিত করে।

জাকারবার্গ তোপের মুখে মার্কিন সিনেটরদের

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১১ April ২০১৮ ১৮:৫৪

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১১ April ২০১৮ ১৮:৫৪

    মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে সিনেটরদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন জাকারবার্গ।

বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে বিচার ও বাণিজ্য বিষয়ক যৌথ কমিটির ৪৪ জন সিনেটরের মুখোমুখি হন মার্ক জাকারবার্গ। অভিযোগ রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা দলের সঙ্গে যুক্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা প্রায় ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে। যদিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পরে মোট ৮ কোটি ৭০ লাভ গ্রাহকের তথ্যচুরির খবর নিশ্চিত করে।

মার্কিন সিনেটের প্রশ্নের মুখে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।                         মার্কিন সিনেটের প্রশ্নের মুখে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।

জাকারবার্গকে প্রশ্ন করা হয় সংস্থাটি কিভাবে এই বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের ডাটা সুবিধা হাতে পেলো? উত্তরে জাকারবার্গ বলেন, এ বিষয়ে মার্কিন আইন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ পরামর্শক রবার্ট মুলার তদন্ত করছেন। ফেসবুক এক্ষেত্রে সবধরণের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।

মুলার এ পর্যন্ত কয়েকজন ফেসবুক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তিনি এখনো কারো জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েননি। তদন্ত চলাকালীন এ সংক্রান্ত আর কোন তথ্য প্রকাশ করবেন না বলে জানান জাকারবার্গ। তবে তথ্য ফাঁসের ঘটনার দায় স্বীকার করে তিনি সিনেটরদের কাছে ক্ষমা চান।

তথ্যফাঁসের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন মার্ক জাকারবার্গ।
                             তথ্যফাঁসের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন মার্ক জাকারবার্গ।

এরপর প্রশ্ন ওঠে, মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে। সে সময় জাকারবার্গ বলেন, রাশিয়া তাদের প্রভাব বিস্তারের কাজে এবং রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ফেসবুকের অপব্যবহার করছে।

বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে রাশিয়া আবারও হস্তক্ষেপ করতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেন। এক্ষেত্রে জাকারবার্গ প্রয়োজনীয় সবধরণের পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও তিনি কতোটুকু সফল হবেন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ফেসবুক রাশিয়ান অপারেটরদের বিরুদ্ধে বড় ধরণের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

তথ্যচুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মার্কিনীরা।                             তথ্যচুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মার্কিনীরা।

তবে নিজেদের কিছু গাফিলতির কথা অকপটে স্বীকার করেন জাকারবার্গ। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা সব তথ্য মুছে ফেলার যে দাবি করেছিলো সেটা যাচাই না করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

ফেসবুকের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন সিনেটররা।
                 ফেসবুকের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন সিনেটররা।

ফেসবুক যেন কোন ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার না হয় সে বিষয়ে আরো সতর্ক থাকার প্রয়োজন ছিলো বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ফেইক অ্যাকাউন্ট শনাক্তে সেইসঙ্গে গ্রাহকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান জাকারবার্গ।

 

সিনেটররা একপর্যায়ে ফেসবুকের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিলে জাকারবার্গ বলেন, তিনি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় রাজি আছেন, যদি সেটা সঠিক হয়।

গত মাসে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা, ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য জরিপ করে জানায় ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারণায় তারা প্রভাব ফেলেছিলো। পরে মার্কিন তদন্ত কর্মকর্তারা ১৩ রুশ কর্মকর্তা ও তিনটি রুশ প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের দায়ে শনাক্ত করে। তথ্যচুরির এমন অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে জাকারবার্গকে সিনেটে তলব করা হয়। তবে ওই প্রতিষ্ঠানটির দাবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত কোন তথ্য ট্রাম্পের প্রচারণায় ব্যবহার করা হয়নি।bbc



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: