odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫
‘দেশীয় রীতির বিরোধী নই তবে মঙ্গল শোভাযাত্রা পরিত্যাজ্য’

‘আমরা দেশীয় রীতি ও সংস্কৃতির বিরোধী নই। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে ঈমান বিধ্বংসী আগ্রাসী সংস্কৃতির নিন্দা জানাই :নূর হোসাইন কাসেমী

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৪ April ২০১৮ ২২:২২

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৪ April ২০১৮ ২২:২২

 পান্তা-ইলিশের নামে যে সংস্কৃতির চর্চা এখন চলে থাকে, তাও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কোনও অংশ নয়।  বরং এটা গ্রাম-বাংলার খেটে খাওয়া কোটি কোটি মানুষের দারিদ্রতার সাথে উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়।’

‘আমরা দেশীয় রীতি ও সংস্কৃতির বিরোধী নই। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে ঈমান বিধ্বংসী আগ্রাসী সংস্কৃতির নিন্দা জানাই। মুসলমানদের জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রার সংস্কৃতি চর্চা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। সংস্কৃতির লেবেল সেঁটে দিয়ে মুসলমানদের ঈমান হরণ করার আয়োজনে তো আমাদের চুপ থাকার সুযোগ নেই।
 

নূর হোসাইন কাসেমী (ছবি- সংগৃহীত) ’
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে দেশের সকল সরকারী স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজনকে শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক বাধ্যতামূলক নির্দেশনা জারির তীব্র নিন্দা জানাই।  ঈমান বিরোধী রীতি পালনে রাষ্ট্র কখনোই বাধ্য করতে পারে না। সংবিধানে প্রতিটি নাগরিককে স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। সুতরাং সংবিধান মতে ধর্মবিরোধী কাজে সরকার বাধ্য করতে পারে না।’

বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির বলেন, ‘বছরের প্রথম দিন বাঘ-ভাল্লুক, সাপ, বিচ্ছু, কুমির, পেঁচা, ময়ূর ও বিভিন্ন দেব-দেবীর বড় বড় মূর্তি, ছবি নিয়ে ও মুখোশ পরে মঙ্গল শোভা যাত্রার নামে র‍্যালি বের করা হয়। এখানে কার কাছে নতুন বছরের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে? ’

‘ 

তিনি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে দেশের সকল সরকারী স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজনকে শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক বাধ্যতামূলক নির্দেশনা জারির তীব্র নিন্দা জানাই।  ঈমান বিরোধী রীতি পালনে রাষ্ট্র কখনোই বাধ্য করতে পারে না। সংবিধানে প্রতিটি নাগরিককে স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। সুতরাং সংবিধান মতে ধর্মবিরোধী কাজে সরকার বাধ্য করতে পারে না।’

বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির বলেন, ‘বছরের প্রথম দিন বাঘ-ভাল্লুক, সাপ, বিচ্ছু, কুমির, পেঁচা, ময়ূর ও বিভিন্ন দেব-দেবীর বড় বড় মূর্তি, ছবি নিয়ে ও মুখোশ পরে মঙ্গল শোভা যাত্রার নামে র‍্যালি বের করা হয়। এখানে কার কাছে নতুন বছরের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে? ’

‘তিনি আরও বলেন, পান্তা-ইলিশের নামে যে সংস্কৃতির চর্চা এখন চলে থাকে, তাও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কোনও অংশ নয়।  বরং এটা গ্রাম-বাংলার খেটে খাওয়া কোটি কোটি মানুষের দারিদ্রতার সাথে উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়।’ 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: