odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

গণভোটের প্রচারণার জের ধরে ডাচ-তুরস্ক তিক্ততা

Admin 1 | প্রকাশিত: ১২ March ২০১৭ ২০:৫৩

Admin 1
প্রকাশিত: ১২ March ২০১৭ ২০:৫৩

নেদারল্যান্ডসে বসবাসকারী তুর্কিদের উদ্দেশ্যে তুরস্কের মন্ত্রীদের গণভোটের প্রচারণা চালাতে না দেয়ায় দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়েছে।

তুরস্কের একজন মন্ত্রীকে রটেরডামের একটি কনস্যুলেটে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। প্রতিবাদে টার্কিশ কনসুলেটের সামনে বিক্ষোভ করেছে শত শত তুর্কি। পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে নিরাপত্তার কারণে আঙ্কারা আর ইস্তানবুলে ডাচ দূতাবাসে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় শনিবার, যখন তুরস্কের পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী ফাতমা বেতুল সাইয়ান কায়াকে রটেরডামে তুরস্কের কনস্যুলেটে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এর আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী একটি বিমানকে নামতে দেয়নি ডাচ কর্তৃপক্ষ।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরো বাড়াতে সামনের মাসে সংবিধান সংশোধনের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। ওই প্রস্তাবের পক্ষে ইউরোপে এখন প্রচারণা চালাচ্ছেন তুর্কী মন্ত্রীরা। তারই অংশ হিসাবে নেদারল্যান্ডের কনস্যুলেটে যেতে চেয়েছিলেন তুরস্কের পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী।

এর আগে একই ধরণের সমাবেশ নিষিদ্ধ করে অস্ট্রিয়া, জার্মানি আর সুইৎজারল্যান্ড।

এই ঘটনার পর তুরস্কের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের তিক্ততা শুরু হয়েছে।

প্রতিবাদ জানাতে কয়েকশ তুর্কি রটেরডামে টার্কিশ কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ করেছে।

অন্যদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আঙ্কারা আর ইন্তানবুলে ডাচ দূতাবাসে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ।

ডাচদের নাৎসিদের অবশিষ্ট আর উগ্রবাদী বলে মন্তব্য করেছন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তায়্যিপ এর্দোয়ান। তিনি হুমকি দিয়েছেন যে, পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে তুরস্কে ডাচ বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।

এর জবাবে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেছেন, মি. এর্দোয়ানের মন্তব্য শিষ্টাচারের বাইরে।

এ ধরণের হুমকির ফলে দুই দেশের মধ্যে সমস্যার সমাধান বরং অসম্ভব হয়ে উঠছে বলে সরকারি একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: