odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫
আন্তর্জাতিক রোবটিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে 

মেক্সিকো যাচ্ছে বাংলাদেশের ৫ কিশোর-কিশোরী

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১২ August ২০১৮ ১৭:৫৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১২ August ২০১৮ ১৭:৫৭

 রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কিশোর বিজ্ঞানীরা তাদের প্রত্যয়ের কথা জানালেন। তাদের তৈরি রোবটের কার্যক্রম প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও নতুন সম্ভাবনার কথা তারা আরেকবার জানান দিল।

 

মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় ‘ফার্স্ট গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বার্ষিক রোবটিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ৫জন কিশোর-কিশোরি অংশ নিচ্ছেন।
আগামী ১৫ থেকে ১৮ আগস্ট মেক্সিকোতে আন্তর্জাতিক রোবটিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
নিজেদের তৈরী রোবট নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করছেন তারা হচ্ছেন,আনাহিতা আনোয়ারা, লালেহ নাজ বার্গম্যান হোসেন, আরমান খসরু, রাজিন আলী ও সুজয় মাহমুদ। বাংলাদেশের এই পাঁচ কিশোর-কিশোরী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে বিশ্বমঞ্চে আলো ছড়াতে যাচ্ছে।

প্রতিযোগীদের উপস্থিতিতে উক্ত প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরতে টেক একাডেমি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ব্র্যাক ব্যাংক, এপেক্স, বিকাশ ও মাইক্রোসফট।
বাংলাদেশের এই পাঁচ প্রতিযোগীর সবাই তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সামাজিক উদ্যোগ টেক একাডেমির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশ টিমের মেন্টর হিসেবে সঙ্গে থাকবেন টেক একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামস জাবের।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মেক্সিকো সিটিতে এ প্রতিযোগিতায় এবার অংশ নিচ্ছে ১৮২টি দেশ। ১৪ থেকে ১৮ বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মধ্য থেকে যারা প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও বিকাশে অবদান রাখে, তাদেরকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। প্রতিবছর ভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্মে বেড়ে উঠা স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে প্রতিটি দেশ থেকে প্রতিযোগী নির্বাচন করে থাকে ‘ফার্স্ট গ্লোবাল’।
এবারের রোবটিক প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং ১৪ টি ‘গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ চিহ্নিত করেছে। প্রতিযোগীরা এ সমস্যাগুলো সমাধানের পথ খুঁজবেন। এবারের প্রতিযোগিতার থিম ‘এনার্জি ইমপ্যাক্ট’। প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো হচ্ছে : জ্বালানি শক্তির প্ল্যান্ট, নতুন জ্বালানি শক্তির সম্ভাবনা, সুসংহত শক্তিশালী ও টেকসই জ্বালানি সংবহন ব্যবস্থা।
পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তি ও প্রতিযোগীদের অভিভাবকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন ।
শামস জাবের বলেন, ‘বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের পরিচিতি শুধু বন্যাপীড়িত, ক্ষুধা, দারিদ্র্যের দেশ হিসেবে। এরকম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একদিকে আমাদের মধ্যে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্কের সেতুবন্ধন হবে, অন্যদিকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এখন বাংলাদেশকে নতুনভাবে জানতে শুরু করবে। বাংলাদেশ যে প্রযুক্তিক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে -এই অংশগ্রহণ তারই প্রতিফলন।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: