odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫
মানবতার সমাধানে নিজেকে সোপে দিলো এক ব্রিটিশ তরুণী

মহানবী সা. এর জীবনী শুনে সত্য ধারণ করল এক ব্রিটিশ তরুণী

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৮ October ২০১৮ ০২:৪৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৮ October ২০১৮ ০২:৪৭

ইসলামও একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম হিসেবে সব ধরনের উন্নত মূল্যবোধ ও নৈতিকতার বিকাশ ঘটানো এবং সব ধরনের মন্দকে প্রতিরোধের জন্য নানা বিধি-বিধান দিয়েছে। তাই ইসলাম ধর্ম মানব প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা করতে গিয়ে মানব-প্রকৃতির সঙ্গে এ ধর্মের সঙ্গতিসহ নানা গুণ ও মূল্যবোধ প্রতিপালনকারী এই মহান ধর্মের পরিপূর্ণতা ।

সম্পর্কে অবহিত হয়ে মুগ্ধ হচ্ছেন অনেক অমুসলিম এবং তারা গ্রহণ করছেন এই অকৃত্রিম ধর্ম। ব্রিটিশ নও-মুসলিম মিসেস ‘নাতাশা’ হচ্ছেন এমনই এক সৌভাগ্যবানদের একজন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন:

‘১২ বছর বয়স থেকেই আত্মিক ও ধর্মীয় বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতাম। আমার ধর্ম বিশ্বাস ছিল কেবল এটাই যে আমি আল্লাহ বা ¯্রস্টার প্রতি বিশ্বাসী ও ঈসা মাসিহ মানবজাতির ত্রাণকর্তা। যতই বড় হচ্ছিলাম ততই এসব বিষয়ে বেশি পড়াশোনা করছিলাম। বিভিন্ন উৎস থেকে পড়াশোনা করতে গিয়ে একবার এটা জানতে পারি যে, ঈসা (আ.) খোদা নন, বরং আল্লাহর একজন নবী এবং তারপরেও একজন নবী এসেছেন এবং সেই নবী আসার সুসংবাদ খোদ ঈসা (আ.) ই দিয়ে গেছেন।

তাই ঈসা (আ.) এর পর যে নবী এসেছেন সে বিষয়ে গবেষণা করতে উদ্যোগী হলাম। আর এই গবেষণাই আমাকে মুসলমানে পরিণত করেছে। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বয়সে তরুণ থাকা অবস্থায় একজন খ্রিস্টান পাদ্রির সাক্ষাতের ঘটনাও দৃষ্টি আকৃষ্ট করে নাতাশার।

ইতিহাসে এসেছে, তরুণ বয়সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর চাচা আবু তালিব (রা.)-র সঙ্গে সিরিয়ার দিকে গিয়েছিলেন। তাঁরা এক জায়গায় বিশ্রামের জন্য থেমেছিলেন। সেই এলাকায় থাকতেন ‘বুহুইরা’ নামের এক পাদ্রি।

এই পাদ্রির সঙ্গে তাঁদের পরিচয় ঘটে। বুহুইরা ছিলেন খাঁটি খ্রিস্টান ও জ্ঞানী। বুহুইরা কুরাইশ কাফেলায় বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নুরানি ও ভাবুক প্রকৃতির চেহারা দেখে তাঁর দিকে যান ও কয়েকটি প্রশ্ন করার পর বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাঁধ দেখানোর অনুরোধ করেন।

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাঁধের মধ্যে বিশেষ চিহ্নের ওপর নজর পড়তেই তিনি বেশ আবেগ বা উত্তেজনা নিয়ে বলে উঠলেন: হ্যাঁ, এটাই তো সেই চিহ্ন যার বর্ণনা আমাদের ধর্মগ্রন্থে নিখুঁতভাবে এসেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: