odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

নামাজ আদায় না করার পরিণতি

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৯ December ২০১৮ ০৮:০১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৯ December ২০১৮ ০৮:০১

নামাজ মানুষকে কল্যাণের পথে পরিচালিত করে, রিজিকের ফয়সাল দান করে। কুরআনের আয়াত দ্বারা তা প্রমাণিত। তারপরও এমন অনেক মুসলিম রয়েছে যারা নামাজ দ্বারা দিন শুরু করে না। অথচ নামাজ দ্বারা দিনের কাজ শুরু করায় রয়েছে অনেক বড় মর্যাদার ঘোষণা।
ভালো কাজ দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু করায় রয়েছে কল্যাণ। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভোরে নামাজ দিয়ে দিন শুরু করা ব্যক্তির প্রশংসা ও মর্যাদা ঘোষণা করেন বলেন- হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ভোরে ফজরের নামাজের দিকে গেল, সে ঈমানের পতাকা বহন করলো। আর যে ভোরে (নামাজ না পড়ে) বাজারের (অন্য কাজের) দিকে গেল, সে ইবলিসের (শয়তানের) ঝাণ্ডা বহন করে নিলো।’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

এ হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা তিবি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ হাদিসের মাধ্যমে দু’টি দলের সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়।
তাদের প্রথম দলটি হলো- ‘হিজবুল্লাহ’ বা আল্লাহর দল। যারা ভোরে নামাজ দিয়ে দিনটি শুরু করে।

আর দ্বিতীয় দলটি হলো- ‘হিজবুশ শায়তান’ বা শয়তানের দল। যারা দিনের শুরুতে নামাজ বাদ দিয়ে দুনিয়াবি অন্যান্য কাজের মাধ্যমে নিজেদের ব্যস্ত করে তোলে।

সুতরাং ভোর বেলা ঘুম থেকে ওঠে অন্য কোনো কাজ নয়, পাক-পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করাই ঈমানের একান্ত দাবি। কেননা ভোরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির নামাজ আদায় কিংবা নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে গমন ঈমানের পতাকা ওড়ানোর শামিল। আর তারাই আল্লাহর দল হিসেবে পরিচিত।

আর যারা এর বিপরীত কাজে নিজেদের দিন শুরু করে তারা শয়তানের দলে পরিণত হয় এবং নিজেদের দ্বীনকে পর্যদুস্তকারী হিসেবে পরিচিতি পায়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত ভোরবেলা নামাজের মাধ্যমে তাদের দিন শুরু করার তাওফিক দান করুন। শয়তানের সঙ্গী হওয়ার অপবাদমুক্ত হয়ে আল্লাহর সঙ্গী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: