odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

কেন নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ইসলামে নিষিদ্ধ

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১২ December ২০১৮ ১৫:২১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১২ December ২০১৮ ১৫:২১

নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা আল্লাহর দেওয়া সীমারেখা লঙ্ঘনের শামিল। আল্লাহর দেওয়া সীমারেখার অন্যতম একটি দিক হলো নারী ও পুরুষ নিজ নিজ স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্যের নিরিখে তাদের জীবন পরিচালিত করবে। আল্লাহ বলেন, ‘আপনি মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এটিতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা রয়েছে। তাদের কর্ম সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত। (সূরা নূর : ৩০, ৩১)।

আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! আপনার স্ত্রী, কন্যা এবং মুমিনদের বলে দিন, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের ওপর টেনে নেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে এবং তাদের উত্ত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, দয়াময়। ’ (সূরা আহজাব : ৫৯)।

মহান আল্লাহ নবীর স্ত্রীদের সম্বোধন করে বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের বাসস্থানে অবস্থান করবে এবং জাহেলি যুগের সৌন্দর্য প্রদর্শনের মতো তোমরা তোমাদের প্রদর্শন করবে না, তোমরা যথাযথভাবে নামাজ আদায় করবে এবং জাকাত প্রদান করবে। ’ (সূরা আহজাব : ৩৩)।

রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো পুরুষ ভিন্ন মহিলাকে নিয়ে নির্জনে গেলে সেখানে তৃতীয় জন হিসেবে শয়তান উপস্থিত হয়। ’ (মিশকাত)।

আমরা আবার বলছি, নারী-পুরুষের বাধাহীন মেলামেশা মহান আল্লাহর দেওয়া সীমারেখার লঙ্ঘন। এতে ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন ও সামাজিক জীবনের ভারসাম্য এবং স্বাভাবিকতা বিনষ্ট হয়। এতে তরুণ- তরুণী নির্লজ্জ জীবনযাপনের সুযোগ পায়। তারা মাদকাসক্তিতে লিপ্ত হয়। মাদকের অর্থ জোগাতে পিতা-মাতার প্রতি নির্যাতন করে। তারা জেনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ পায়। এতে পরকীয়ার দুয়ার উন্মুক্ত হয়। এতে সংসার-পরিবারে ভাঙন সৃষ্টি হয়। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশায় ভর করে মানুষের জঘন্য শত্রু শয়তান তার কুটিলতা ও কুমন্ত্রণার মাধ্যমে মানুষের ইহ ও পরকাল ধ্বংস করে দেয়।

নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশায় আশরাফুল মাখলুকাত জেনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে মদ-নেশায় ও পরকীয়ায় জড়িয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক ইহলৌকিক ও পারলৌলিক জীবন ধ্বংস করে দেয়। এমনটি অবশ্যই পরিহারযোগ্য, অবশ্যই বর্জনীয়। আল্লাহ আমাদের সুন্দর পরিচ্ছন্ন ও তাঁর দেওয়া সীমারেখা মেনে জীবনযাপনের তাওফিক দিন।
(আমিন)

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: