odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

অ্যাপসে টিকিট না পেয়ে স্টেশনে ভিড়

Akbar | প্রকাশিত: ২৪ May ২০১৯ ১৬:০১

Akbar
প্রকাশিত: ২৪ May ২০১৯ ১৬:০১

ঢাকা: অ্যাপসে প্রতিদিন ১১ হাজার ১৪৫টি টিকিটের বিপরীতে পৌনে তিন লাখ লোক ঢোকার চেষ্টা করছে। কাউন্টারে সীমিত টিকিটের বিপরীতে ৪-৫ গুণ যাত্রী।

সব মিলিয়ে সর্বত্রই একটা জট তৈরি হয়েছে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ভাষ্য।

আর টিকিট ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত-সিএনএস বলছে, দিনে ৩১ হাজার ৩৮০টি টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে অ্যাপসে ১১ হাজার ১৪৫টি এবং বাকি ২০ হাজার ২৩৪টি কাউন্টার থেকে বিক্রি হচ্ছে।

তবে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার বলছেন, দিনে ২৫ হাজার ৫৭১ টিকিট বিক্রির জন্য বরাদ্দ আছে। যার ৫০ শতাংশ (১২ হাজার ৭৪৮) রাজধানীর ৫টি স্টেশনের ৩৬টি কাউন্টার থেকে বিক্রির কথা।

‘সোনার হরিণ’ নামক টিকিটের সংখ্যা নিয়ে দায়িত্বশীলদের এমন ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে টিকিটপ্রত্যাশীদের মধ্যে। কমলাপুর স্টেশনে ২০টি কাউন্টারের মধ্যে ‘মহিলা ও প্রতিবন্ধী’ কাউন্টার আছে একটি।

ওই কাউন্টারের সামনে গিয়ে দেখা গেল লম্বা লাইন। আঁকাবাঁকা হয়ে স্টেশন চত্বরের সড়ক পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে লাইনটি। তবে এ লাইনের টিকিটপ্রত্যাশীদের ৮৫ শতাংশই কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাননি।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জুয়েল জানান, কমলাপুর স্টেশনের ২০টি কাউন্টার থেকে সাড়ে চার হাজার টিকিট নেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১৮-২০ হাজার যাত্রী।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, স্টেশনে গিয়ে কেউ টিকিট কাটতে পারেননি, এমন অভিযোগটি সঠিক নয়। কেউ না কেউ তো টিকিট কেটে নিচ্ছেন। যারা টিকিট কাটতে পারছেন না, সেই ব্যর্থতা তো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নেবে না।

অনেক যাত্রীর অভিযোগ, যে সংখ্যক টিকিট ছাড়ার কথা বলা হচ্ছে, প্রকৃত অর্থে তা ছাড়া হচ্ছে না।

টিকিট নিয়ে কোথাও না কোথাও লুকোচুরি হচ্ছে। নির্ধারিত লোকদের জন্য টিকিট ব্লক করে রাখার অভিযোগও রয়েছে।

অ্যাপসে টিকিট কাটতে না পারার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিএনএস লিমিটেডের কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কাউন্টার থেকে ১০ হাজার ১৪৭টি এবং অ্যাপসে ৮ হাজার ৬২৭টি টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।

অনলাইনে বরাদ্দ প্রায় ১১ হাজার টিকিটের বিপরীতে ঢোকার চেষ্টা করছে প্রায় পৌনে তিন লাখ গ্রাহক। এর মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ যাত্রী টিকিট কিনতে পারছেন।

সিএনএস কর্মকর্তাদের এমন বক্তব্য মানতে রাজি নন সাধারণ যাত্রীরা।

তারা বলছেন, কাউন্টার থেকে ২০ হাজার ২৩৪টি এবং অ্যাপসে ১১ হাজার ১৪৫টি টিকিট বিক্রির কথা। সেটি হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান জানান, সীমিত টিকিট দিয়ে হাজার হাজার যাত্রীর চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।

আমরা প্রতিবছরই অতিরিক্ত যাত্রী বহনে ঈদ স্পেশাল ট্রেন ও অতিরিক্ত যাত্রীবাহী কোচ রেলওয়ের বহরে যোগ করি। টিকিট কাটতে না পারার যে অভিযোগ তা সত্য নয়। বিশেষ করে কাউন্টার থেকে যারা টিকিট কাটতে পারছেন না, সেটা রেল কর্তৃপক্ষের কোনো ব্যর্থতা নয়। টিকিট সবাই পাবে না, এটাই স্বাভাবিক।

অ্যাপস বিষয়ে তিনি বলেন, অ্যাপসটি নতুন তৈরি হয়েছে। একই সময়ে হাজার হাজার লোক অ্যাপসটিতে ঢোকার চেষ্টা করায় কিছুটা ধীরগতি হয়। অ্যাপসে যে প্রতিদিন টিকিট বিক্রি করছে তার তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: