odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫
মতলব পৌরসভার পূর্ব কলাদী জামে মসজিদ

মসজিদের ইমামের কক্ষ থেকে তিন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

odhikar patra | প্রকাশিত: ৩১ August ২০১৯ ০১:১৫

odhikar patra
প্রকাশিত: ৩১ August ২০১৯ ০১:১৫

  মতলব পৌরসভার পূর্ব কলাদী জামে মসজিদের ইমামের কক্ষ থেকে আজ জুমআর নামাজের পর তিন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই তিনজনের নাম আব্দুল্লাহ আল নোমান (৫), রিফাত হোসেন (১২) ও ইব্রাহিম খলিল (১৫)। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে ওই সমজিদের ইমাম তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে রেখে নামাজ পড়াতে যান। ওই শিশু সন্তানের সঙ্গে আরো ২ জন শিশু-কিশোর প্রবেশ করে ইমামের রুমে। নামাজ শেষে ইমাম নিজের রুমের দরোজা ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় মুসল্লি শাহীন সরকার, সাইফুল, সুমন মোস্তফাসহ একাধিক ব্যাক্তি দরোজা ভেঙ্গে ইমাম ও মুসুল্লীদের উপস্থিতিতে কক্ষে প্রবেশ করেন এবং ৩ শিশু-কিশোরকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাদের দুজন ঘটনাস্থলে মারা গেছে। অপর একজনকে মতলব হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।


ইমাম জামাল উদ্দিন বলেন, ‘জুমআা নামাজের আগে বেলা পৌনে ১টার সময় আমি বয়ান ও খুদবার জন্য মীমবরের দিকে যাই। নামাজ পড়ানো শেষে সমজিদে মিলাদ পড়িয়ে নিজের রুমে ফিরে আসি। ওই সময় আমার রুমের দরজা ভিতর থেকে আটকানো দেখে অনেক ধাক্কাধাক্কি করি। পরে মুসল্লিদের সহায়তায় দরোজা ভেঙ্গে দেখি আমার ছেলেসহ অপর দুই শিশু বিছানায় পড়ে আছে।’

মতলবে ইমামের কক্ষ থেকে তিন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, দুই মাস পূর্বে মসজিদের ইমাম হিসেবে মাওলানা জামাল উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই থেকে তার শিশু সন্তানসহ আব্দুল্লাহ আল নোমান ওই কক্ষে বসবাস করতেন। এক মাস পূর্বে মসজিদ সংলগ্ন মুক্তা ভিলায় তিনি বাসা ভাড়া নেন। তাদের বাড়ি বরগুনা জেলার কালাই মুদাফাত গ্রামে। এর আগে তিনি চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডে জামে মসজিদে ইমামতি করতেন।

এদিকে মৃত ইব্রাহিম ও রিফাত মতলব পৌরসভার ভাঙ্গাপাড় মাদরাসার ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। রিফাতের বাবা মতলব পৌরসভার নলুয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ও ইব্রাহিম খলিলের বাড়ি দশপাড়া তার পিতা আফসার উদ্দিন।


মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম মাহাবুর রহমান বলেন, মৃত ঐ তিন শিশু কিশোরের মুখ থেকে শুধু ফেনা বের হচ্ছিলো। ফুড প্রয়োজিং বা অন্য কোন কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না।

মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ বলেন, ‘ঘটনাস্থল ও কক্ষটি পর্যবেক্ষণ করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন। এ মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না।’

 

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল করিম পিপিএম বলেন, ‘এখনও কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফুড পয়জনিং বা অন্য কোন কারণে মৃত্যু হতে পারে। তদন্ত কার্যক্রম চলছে। পোস্টমর্টেমের পরে কারণ জানা যেতে পারে।

পরিক্রমা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: