ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

১ ফেব্রুয়ারি কলেজ ছাত্র রাজীবের নিহতের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৯

 

ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯  : তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের নিহতের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ধার্য করেছেন আদালত।
২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় দুই বাসের চাপায় আহত রাজীব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আজ রোববার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহমুদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্তকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে ঘেঁষে অতিক্রম করে।
এসময় দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন । এতে তার মাথায়ও প্রচন্ড আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে ১০ এপ্রিল ভোর পৌনে ৪টায় রাজীব অজ্ঞান হয়ে পড়েন । এরপর ওই দিন সকাল ৮টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। ১৭ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় রাজীব মারা যান।
জীবিত থাকাকালে ৩ এপ্রিল রাজীব বাদি হয়ে শাহবাগ থানায় পেনাল কোডের ২৭৯/৩৩৮ এর ক ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসের চালক মো. খোরশেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছেন।
রাজীবের মৃত্যুর পর বেপরোয়া যান চালিয়ে হত্যার অভিযোগের একটি ধারা ওই মামলায় যুক্ত করার আবেদন করেন শাহবাগ থানা পুলিশ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: