ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

সিরাজদিখানে রাস্তা সংস্কারের নামে রাস্তা বন্ধ :বেকায়দায় ১০ হাজার মানুষ

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:১৫

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ৩ শত ফুট একটি রাস্তার সংস্কার কাজে নাম করে মূল রাস্তা বন্ধ করে রাখার কারণে যাতায়াতে বেকায়দায় পরেছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ! উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডস্থ বেগম বাজার ব্রীজের সংযোগ সড়কের ৩শ ফুট রাস্তার কাজ  প্রায় ১৫  দিন আগে শুরু করা হয়। কিন্তু রাস্তার কাজ তেমন ভাবে করাই হয়নি।কিন্তু রাস্তার নির্মাণ কাজ চলমান বলেচালিয়ে দিয়ে।বিগত ১৫ দিন যাবত মূল রাস্তাটা বন্ধ করে রাখায়।চান্দেরচরসহ আশপাশের  আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াতে বেকায়দায় পরেছেন।

রাস্তাটি নির্মাণের জন্য বালুচর ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি ওয়ান পার্সেন্টের যৌথ অর্থায়নে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজ সমাপ্তির সময় বেঁধে না দেওয়ায় রাস্তার নির্মাণ কাজ ধীরগতিকে করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর। স্থানীয় এলাকাবাসীদের বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার নির্মাণের কাজ করছেন বালুচর ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলেকচান সজিব। তিনি প্রথম দিন হালকা রাস্তার কাজ সংস্করণ করে। কিন্তু পরে আর কোন কাজ না করলেও রাস্তা বন্ধ করে রাখে।এতে করে অন্য ভাংচুরা মাটির রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে দুরঘটনার শিকার হচ্ছে।ফলে কয়েক গ্রামের  মানুষকে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝে মধ্যে ছোট খাটো দূর্ঘটনাও ঘটছে। জনসাধারণের যাতায়াতের ভোগান্তির ইতি টানতে রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণের দাবী তাদের।

বালুচর ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলেকচান সজিব মুঠোফোনে বলেন, ইট ভাটার ট্রাক যাওয়া আসার কারণে কাজে বেঘাত ঘটছে এবং ইট ভাটার ট্রাক চলার কারণে  বিকল্প রাস্তাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  আর কাজ বন্ধ রাখার যে বিষয়টা সেটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। কাজ ধরলাম সবে মাত্র চারদিন হলো। দুদিন পর পর বন্ধ রাখার সুযোগ কোথায় আপনিই বলেন। সাথে বৃষ্টির কারণে কাজ করা যায় না। আগামী শুক্রবার রাস্তার ঢালাই কাজ সম্পন্ন হবে। আর দুএকটা দিন মানুষের কষ্ট হবে তার পর  সব স্বাভাবিক হযে যাবে ইনশাআল্লাহ।

এ ব্যপারে বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আওলাদ হোসেন বলেন, রাস্তার কাজ ধীরগতিতে হচ্চে না বরং বৃষ্টি বাদলের জন্য কাজ করা যাচ্ছে না। আগামী শুক্রবার যদি বৃষ্টি না আসে তাহলে ঢালাই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এর পর ঢালাই শুকাতে যতক্ষন লাগে।  কাজটির জন্য বালুচর ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি ওয়ান পার্সেন্টের যৌথ অর্থায়নে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: