
হাসান মাহমুদ (লালমনিরহাট প্রতিনিধি) : লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রী মতি মাধবী রানী(৩০) ও তার ছেলে শুভকে(১২) বেধরড় পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে জামায়াত কর্মী শাহ আলমের(৩৫) বিরুদ্ধে।
বর্তমানে মা-ছেলে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আহত মাধবী রানী। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া স: প্রা: বিদ্যালয় এলাকায় এই মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে।
মাধবী রানী উপজেলার বাড়াইপাড়া গ্রামের শ্রী তপন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী। তপন চন্দ্র জীবিকা নির্বাহের জন্য সদূর ফেনিতে ইট ভাটায় কাজ করেন। অভিযুক্ত শাহ আলম উপজেলার ওই গ্রামের ইসমাঈল হোসেন কেরুর পুত্র। এছাড়া সে জামাতের কর্মী বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়াই পাড়া গ্রামে মাধবী রানীর পানের দোকানে শাহ আলম শুভর সহিত মসকরা (ইয়ারকি)করে। এসময় শুভও শাহ আলমের সাথে মসকরা( ইয়ারকি করে)। এতে শাহ আলম রেগে গিয়ে শুভকে মারধর করে। এ সময় শুভর মা মাধবী রানী সেখানে এসে বাধা দিলে।
এক পর্যায়ে শহআলম মাধবী রানীর উপরেও চড়াও হয়ে চুলের মুটি ধরে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এমনকি ওই গৃহবধুকে মাটিয়ে ফেলে দিয়ে তার বুকের উপর বসিয়া গলা চেপে মেরে ফেলার উপক্রম করে। এ সময় শুভর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে তাদেও উদ্ধার কওে হাতীবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মাধবী রানীর স্বামী তপন চন্দ্র রায় জানান, আমরা গরীব মানুষ। অভাব অনটনের সংসার। তাই আমি ফেনিতে এসে ভাটায় কাজ করতেছি। আমার স্ত্রী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তাই আশা করি পুলিশ এ বিষয়ে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক মামুন হোসেন জানান, ওই গৃহবধু ও তার সন্তানকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করানো। তবে সুস্থ্য হতে সময় লাগবে।
এ বিষয়ে টংভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, আমি ওই গৃহবধু ও তার সন্তানের খোঁজ খবর নিয়েছি। তাদেরকে আইনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জামাত কর্মী শাহ আলমের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলে কলটি রিসিভ করেনি। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শামীম হাসান সরদার জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: