
পাপুয়া নিউ গিনিতে পোলিও’র প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করা হয়েছে। এমনিতেই দেশটিতে টিকাদানের হার কম, তাই দেশটিতে এই রোগের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এসব কথা জানিয়েছেন।
সিডনি থেকে এএফপি এই খবর জানায়।
প্রায়শই পয়ঃনিষ্কাশন এবং দূষিত পানির মাধ্যমে পোলিওভাইরাস ছড়ায়, যা অত্যন্ত সংক্রামক এবং সম্ভাব্য মারাত্মক।
এটি বিকৃতি এবং পক্ষাঘাত সৃষ্টি করতে পারে এবং প্রধানত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রভাবিত করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির রাজধানী পোর্ট মোরেসবি এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লায়েতে বর্জ্য জল এবং পরিবেশগত নমুনায় ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।
পাপুয়া নিউ গিনিতে ‘হু’র প্রতিনিধি সেভিল হুসেনোভা জানিয়েছেন, পরবর্তী পরীক্ষায় লায়েতে দু’টি শিশুর পোলিওভাইরাস টাইপ-২ স্ট্রেন পাওয়া গেছে।
শুক্রবার এএফপি’কে দেওয়া ব্রিফিং নোটে হুসেনোভা বলেছেন, শিশুদের মধ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে ‘পোলিওর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে।’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সংস্থা ‘নিশ্চিত প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’
জেনেটিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, পাপুয়া নিউ গিনিতে শনাক্ত হওয়া পোলিও স্ট্রেনটি ইন্দোনেশিয়ায় প্রচলিত একটি স্ট্রেনের সাথে যুক্ত ছিল।
পাপুয়া নিউ গিনি ২০০০ সালে পোলিওমুক্ত হিসেবে প্রশংসাপত্র পেয়েছিল, কিন্তু ‘হু’ অনুসারে, শিশুদের মধ্যে টিকাদানের হার ৫০ শতাংশেরও কম।
হুসেনোভা বলেন, ‘পোলিও একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ, এবং কম পোলিও টিকাদানের হারযুক্ত সম্প্রদায়গুলোতে ভাইরাসটি দ্রুত একজন ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে।’
পাপুয়া নিউ গিনির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইলিয়াস কাপাভোর বলেছেন, পরিস্থিতি ‘গুরুতর কিন্তু নিয়ন্ত্রণযোগ্য।’
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা আগেও এটি মোকাবেলা করেছি এবং জানি কীভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘টিকাদান নিরাপদ ও কার্যকর এবং আমরা শিশুদের সুরক্ষিত রাখার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: