
টোকিও থেকে এএফপি জানায়, এএনএ ও ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক জোবি এভিয়েশন যৌথভাবে পাঁচ আসনের ১০০টির বেশি ‘এয়ার ট্যাক্সি’ চালু উদ্যোগ নিচ্ছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এএনএর প্রেসিডেন্ট ও সিইও কোজি শিবাতা বলেন, উড়ন্ত ট্যাক্সি আমাদের আকাশপথে যাতায়াতের রীতিতে বিপ্লব ঘটাবে।
বৃহস্পতিবার এএনএর এক মুখপাত্র এএফপিকে জানান, এই এয়ারক্রাফটগুলো একজন পাইলটসহ চারজন যাত্রী বহনে সক্ষম হবে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩২০ কিলোমিটার (২০০ মাইল) গতিতে চলতে পারবে। ২০২৭ সাল থেকেই এই যানগুলো চালু করা সম্ভব হতে পারে।
প্রকল্পটিতে টোকিওর নারিতা ও হানেদা বিমানবন্দরের সঙ্গে শহরের সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। ভবিষ্যতে রুটের পরিসর বাড়ানোও সম্ভব হবে।
এএনএ জানায়, বর্তমানে টোকিওর প্রাণকেন্দ্র থেকে নারিতা যেতে গাড়ি বা ট্রেনে প্রায় এক ঘণ্টা বা তার বেশি সময় লাগে। কিন্তু জোবির পাঁচ আসনের এয়ার ট্যাক্সি সেই সময় মাত্র ১৫ মিনিটে কমিয়ে আনবে।
এই এয়ার ট্যাক্সিতে চলাচলের ভাড়া সম্পর্কে এখনো কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে সাধারণ মানুষের জন্য এএনএ এটি যথাসম্ভব সাশ্রয়ী রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র।
আগামী অক্টোবর মাসে ওসাকা এক্সপোতে জনসম্মুখে একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট প্রদর্শন করবে এএনএ ও জোবি।
জোবি এভিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জোবেন বেভার্ট বলেন, প্রাচীন জ্ঞান, কিংবদন্তিতুল্য কারুশিল্প ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা যেখানে এসে মিলিত হয়েছে, সেই স্থানই হচ্ছে জাপান। আর এ কারণেই আকাশযাত্রার ভবিষ্যৎ পুনর্নির্ধারণে জাপান একটি অসাধারণ সূচনাস্থল।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, জোবির উড়ন্ত যান হেলিকপ্টারের মতো উড়াল দেয়, এরপর বিমানের মতো সামনের দিকে উড়ে চলে। এতে শব্দ দূষণ নেই বললেই চলে এবং কোনো কার্বন নিঃসরণও হয় না।
এদিকে, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই আরেক উড়ন্ত ট্যাক্সি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভলোকপটার দেউলিয়া হওয়ার আবেদন করে। এর কয়েকদিন আগে একই খাতে জার্মানির আরেক প্রতিষ্ঠান লিলিয়ামকে দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচানো হয়।
ভলোকপটার ২০২৫ সালেই তার দুই আসনের ‘ভলোসিটি’ মডেল বাজারে আনতে চেয়েছিল। তবে চলতি গ্রীষ্মে প্যারিস অলিম্পিকে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। কারণ সময়মতো তাদের এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনের অনুমোদন মেলেনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: