
আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিস্থিতি বোঝার জন্য রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং কমিউনিটিকে প্রতিকূল অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য সহযোগিতা দিতে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা গ্রহণে প্রচেষ্টা চালাতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, আধুনিক আবহাওয়া বিদ্যা এবং আইসিটি প্রযুক্তি কার্যকর সতর্কতা ব্যবস্থা জোরদার করবে এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি কমিয়ে আনবে।
আবহাওয়া ও জলবায়ু কেবল মানুষের জীবনের ওপরই নয় পরিবেশেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে একথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আবহাওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং এসব বিষয়ে বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত থাকার প্রয়োজন রয়েছে কারণ বায়ুমন্ডলের কোন রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক সীমারেখা নেই।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের যে কোন অংশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাস অন্তর্নিহিতভাবে এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের তথ্যের প্রাপ্তির ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিষয়টিতে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এবং আনুষ্ঠানিক কাঠামোয় বিশেষ করে ডব্লিউএমও’তে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। আমি এ বিষয়ে খুশী যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০১৮’র প্রতিপাদ্য ‘ওয়েদার-রেডি, ক্লাইমেট-স্মার্ট’ প্রাথমিক সতর্ক ব্যবস্থা এবং জলবায়ু পরিসেবাগুলোর ব্যাপক গুরুত্ব তুলে ধরবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, নগরায়ন এবং মেগাসিটিগুলোর প্রসারের অর্থ হলো আমরা আরো বেশি উন্মুক্ত এবং ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। এখন আমাদের প্রয়োজন ওয়েদার-রেডি, ক্লাইমেট-স্মার্ট অ্যান্ড ওয়াটার-ওয়াইজ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: