ঢাকা | সোমবার, ৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২
তার উৎকৃষ্ট প্রমান দিলেন ভারতের এক যুবক বিয়েতে যৌতুক নিল ফলের চারা

নিজেকে পরিচ্ছন্ন করতে, পারলে সমাজ হবে জঞ্জাল মুক্ত

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০১৮ ১৪:০৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০১৮ ১৪:০৭

কোনও টাকা-পয়সা, গাড়ি বা আসবাবপত্র নয়, যৌতুকে ১০০১টি গাছের চারা দাবি করে বসলেন ভারতের উড়িষ্যার এক যুবক! তবে সে গাছ অবশ্যই ফলের হতে হবে। এই দাবি মানলেই বিয়ে করবেন তিনি। সেই দাবি মেনেও নেন পাত্রী পক্ষ। অভিনব এই ঘটনাটি ঘটেছে উড়িষ্যার কেন্দ্রাপাড়ায়।

সরোজকান্ত বিসওয়াল। পেশায় স্কুল শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতির প্রতি টান রয়েছে তার। এমনিতেই পণপ্রথার ঘোরতর বিরোধী বিসওয়াল। তবে ‘পণ’ তিনি নিয়েছেন। কিন্তু সে ‘পণ’ ছিল শুধু গাছের চারা। সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তিনি। বিসওয়ালের দাবি মেনেই তার শ্বশুরবাড়ি থেকে লরি করে ১০০১টি ফল গাছের চারা পৌঁছে দেয়া হয় তার বাড়িতে। শুধু শ্বশুরবাড়ি কেন, বিয়েতে উপস্থিত অতিথি-অভ্যাগত, আত্মীয়-স্বজন প্রত্যেককেই উপহার হিসেবে এনেছিলেন গাছের চারা! সেই উপহার পেয়ে যথেষ্ট খুশিও হয়েছেন বিসওয়াল।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসওয়ালের স্ত্রী রশ্মিরেখা পাইতালাও পেশায় একজন শিক্ষক। কেন্দ্রাপাড়া জেলার মর্শাঘাই মহকুমার অন্তর্গত আদমপুরের বাসিন্দা তিনি। ১০০১টা গাছের চারা দাবির পাশাপাশি, বিয়ের আগেই আরও একটা শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন রশ্মিরেখাকে দিয়ে। বলেছিলেন, বিয়েতে যেন কোনও শব্দবাজি, ব্যান্ডপার্টির আয়োজন না করা হয়। জাঁকজমকপূর্ণ নয়, বিসওয়াল চেয়েছিলেন তাদের বিয়েটা যেন সাদামাটাই হয়।

শব্দবাজিতে আপত্তি কেন? বিসওয়াল জানান, তিনি একজন প্রকৃতিপ্রেমী। শব্দবাজিতে পরিবেশ দূষণ হয়। পরিবেশ দূষণ রুখতে লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। তাই চাননি বিয়েতে শব্দবাজি পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণ করতে। পরিবর্তে, শান্ত পরিবেশে গাছের চারা বিনিময়ের মাধ্যমেই সম্পন্ন হোক বিয়ে, এমনটাই ইচ্ছা ছিল তার। আর সে ইচ্ছা পূরণও হয়েছে কোনও রকম ওজর-আপত্তি ছাড়াই। এ রকম একজনকে নিজেদের পরিবারের মধ্যে পেয়ে রশ্মিরেখা ও তার পরিবারও বেজায় খুশি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: