বিশিষ্ট কবি, সাংবাদিক, লেখক এবং ষাট ও সত্তর দশকের সৃষ্টিশীল সাহিত্য পত্রিকা ‘সমকাল’-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সিকান্দার আবু জাফরের ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল।
১৯১৯ সালের ১৯ মার্চ তিনি তৎকালীন কলকাতার সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাতক্ষীরার তালা বি ইন্সটিটিউট থেকে এসএসসি, কলকাতার রিপন কলেজ (পরবর্তীতে সুন্দরবন কলেজ) থেকে ¯œাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষাজীবন থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে আত্মনিয়োগ করেন।
দেশ ভাগের পর তিনি ১৯৫০ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে তিনি সাংবাদিতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। পাশাপাশি সাহিত্য চর্চায় সার্বক্ষণিক আত্মনিয়োগ করেন। কবিতা, গান, প্রবন্ধ, সাহিত্য সমালোচনা, পত্রিকায় সম্পাদকীয় ও রাজনৈতিক নিবন্ধ লেখায় ছিলেন তিনি খুবই সিদ্ধহস্ত। তার সাংবাদিকতা নবযুগ পত্রিকায় চাকরির মধ্যদিয়ে শুরু হয়। পরবর্তীতে ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
লেখালেখি ও সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যে সৃষ্টিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫৯ সালে প্রকাশ করেন ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘সমকাল’। এই পত্রিকাটি বাংলা সািহত্যের ইতিহাসে সৃষ্টিশীলতায় অনন্য অবদান রাখে। এ পত্রিকায় লেখালেখি করে বাংলাদেশের অসংখ্য কবি, গল্পকার, উপন্যাসিক খ্যাতি অর্জন করেন। ক্রমে পত্রিকাটি এবং সিকান্দার আবু জাফরের এই পত্রিকার কার্যালয়টি হয়ে ওঠে বাংলাদেশের লেখকদের ঠিকানা। ঢাকার ডিআইটি এভিনিউতে ছিল ‘ত্রৈমাসিক সমকাল’-এর আিফস। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য তিনি কলকাতায় চলে যান। ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে কবি হাসান হাফিজুর রহমান এবং প্রখ্যাত নাট্যকার, লেখক, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ইসমাইল মোহাম্মদ (উদয়ন চৌধুরী) এ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী স্মৃতিচারণ করে বাসসকে বলেন, কবি সিকান্দার আবু জাফর একাধারে কবিতায়, সাংবাদিকতায়, রাজনীতিতে, সংস্কৃতি-সাহিত্যে নানামুখী কাজ করেছেন। তার সৃষ্টি সাহিত্য পত্রিকা সমকাল বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির এক অনন্য স্বাক্ষর। ষাটের দশকে স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনের সময় তিনি অসংখ্য কালজয়ী কবিতা রচনা করেন। যেমনÑ ‘ সংগ্রাম চলবেই চলবে’, ‘আমার মাদুর থেকে তুমি নামো, তুমি বাংলা ছাড়ো’ ইত্যাদি।
সাহিত্যে অবদানের জন্য সিকান্দার আবু জাফর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), রাষ্ট্রীয় একুশে পদক (১৯৮৫, মরণোত্তর) এবং স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
১৯১৯ সালের ১৯ মার্চ তিনি তৎকালীন কলকাতার সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাতক্ষীরার তালা বি ইন্সটিটিউট থেকে এসএসসি, কলকাতার রিপন কলেজ (পরবর্তীতে সুন্দরবন কলেজ) থেকে ¯œাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষাজীবন থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে আত্মনিয়োগ করেন।
দেশ ভাগের পর তিনি ১৯৫০ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে তিনি সাংবাদিতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। পাশাপাশি সাহিত্য চর্চায় সার্বক্ষণিক আত্মনিয়োগ করেন। কবিতা, গান, প্রবন্ধ, সাহিত্য সমালোচনা, পত্রিকায় সম্পাদকীয় ও রাজনৈতিক নিবন্ধ লেখায় ছিলেন তিনি খুবই সিদ্ধহস্ত। তার সাংবাদিকতা নবযুগ পত্রিকায় চাকরির মধ্যদিয়ে শুরু হয়। পরবর্তীতে ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
লেখালেখি ও সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যে সৃষ্টিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫৯ সালে প্রকাশ করেন ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘সমকাল’। এই পত্রিকাটি বাংলা সািহত্যের ইতিহাসে সৃষ্টিশীলতায় অনন্য অবদান রাখে। এ পত্রিকায় লেখালেখি করে বাংলাদেশের অসংখ্য কবি, গল্পকার, উপন্যাসিক খ্যাতি অর্জন করেন। ক্রমে পত্রিকাটি এবং সিকান্দার আবু জাফরের এই পত্রিকার কার্যালয়টি হয়ে ওঠে বাংলাদেশের লেখকদের ঠিকানা। ঢাকার ডিআইটি এভিনিউতে ছিল ‘ত্রৈমাসিক সমকাল’-এর আিফস। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য তিনি কলকাতায় চলে যান। ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে কবি হাসান হাফিজুর রহমান এবং প্রখ্যাত নাট্যকার, লেখক, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ইসমাইল মোহাম্মদ (উদয়ন চৌধুরী) এ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী স্মৃতিচারণ করে বাসসকে বলেন, কবি সিকান্দার আবু জাফর একাধারে কবিতায়, সাংবাদিকতায়, রাজনীতিতে, সংস্কৃতি-সাহিত্যে নানামুখী কাজ করেছেন। তার সৃষ্টি সাহিত্য পত্রিকা সমকাল বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির এক অনন্য স্বাক্ষর। ষাটের দশকে স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনের সময় তিনি অসংখ্য কালজয়ী কবিতা রচনা করেন। যেমনÑ ‘ সংগ্রাম চলবেই চলবে’, ‘আমার মাদুর থেকে তুমি নামো, তুমি বাংলা ছাড়ো’ ইত্যাদি।
সাহিত্যে অবদানের জন্য সিকান্দার আবু জাফর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), রাষ্ট্রীয় একুশে পদক (১৯৮৫, মরণোত্তর) এবং স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: