ঢাকা | সোমবার, ৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায়ও নারীরা অবদান রাখছে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০১৮ ১৮:২০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০১৮ ১৮:২০

 

 

 মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন সর্বদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীরা আজ দেশ বিদেশে বিভিন্ন খেলাধুলাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্বর্ণ পদকসহ বিভিন্ন পদক জয় করে আনছেন। কৃষি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে এবং দারিদ্রের হার কমেছে।
আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে নারী ও বালিকাদের প্রতি সহিংসতা এবং যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য নারী সাংবাদিকদের এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এবং নারী উন্নয়ন শক্তির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নারী উন্নয়ন শক্তির নির্বাহী পরিচালক ড.আফরোজা পারভীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর নাহার মন্টি।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে গণমাধ্যম কর্মীদের বিরাট অবদান রয়েছে। দেশের কোথাও কোন নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে তা সাংবাদিকদের লেখনীর সাথে সাথে সরকারের নজরে আসে এবং সে বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হয় ।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়ে তাদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলছে। ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তব^ায়ন করছে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
চুমকি বলেন, আজ কোটা আন্দোলনের নামে একটি মহল দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে। দেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ উন্নয়ন সাংবাদিকতার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, নারী ও শিশুদের কল্যাণে সরকার যেসব কমসূচি বাস্তবায়ন করছে তা গণমাধ্যম কর্মীদের লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। একটি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপুর্ণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে যারা ভিসির বাসভবনে হামলা ও ভাংচুর করে তারা এদেশের স্বাধীনতার পক্ষের লোক হতে পারে না। স্বাধীনতা বিরোধীরা আজ কোটা বিরোধী আন্দোলনে মদদ দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ও শান্তির পথকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় ।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হবে। এজন্য সকল মহলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মোট ৬জন সাংবাদিককে সহিংসতা এবং যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এরা হলেন, সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে ওয়াজেদ হিরা, ইয়াসমিন রীমা,রীতা ভৌমিক,টিভি রিপোটিং-এর ক্ষেত্রে ফারজানা শোভা, শাতিলা শারমিন ও হুমায়ুন কবীর সুর্য।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: