ঢাকা | সোমবার, ৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২
নারী-পুরুষ বিভাজন নয়, প্রশ্ন অধিকার ও মর্যাদার।

সম অধিকার, বৈষম্যহীন, মর্যাদাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির সমাজ প্রতিষ্ঠা জরুরি

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০১৮ ২০:০২

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০১৮ ২০:০২

 

নারী-পুরুষ বিভাজন নয়, প্রশ্ন অধিকার ও মর্যাদার। আর তা নিশ্চিত করতে সম অধিকার, বৈষম্যহীন, মর্যাদাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির সমাজ প্রতিষ্ঠা জরুরি।
তারা বলেন,নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা ও যৌন হয়রানি বন্ধ না হলে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে।এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এ ব্লক অডিটোরিয়ামে ‘কর্মক্ষেত্র নারীর প্রতি অশোভন আচরণ ও প্রতিকার’- শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লেন্ট কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে গঠিত কমপ্লেন্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপ্রধান আয়শা খানম। আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া। স্বাগত বক্তৃতা করেন সাবেক ডীন ও কমপ্লেন্ট কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সালান। পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান।
আয়শা খানম বলেন, ‘নারীরা সমাজের অর্ধেক। সকল ক্ষেত্রেই নারীর সমান ক্ষমতায়, সম অধিকার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। প্রয়োজন একটি অসাম্প্রদায়িক যুক্তিবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার। যেখানে নারীরা তাঁদের পূর্ণ অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করবেন এবং দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।’
অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ বক্স খোলা হবে। যৌন হয়রানির বিষয়ে বিএসএমইউয়ের বর্তমান প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতিতে অটুট থাকবে। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগসমূহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: