ঢাকা | সোমবার, ৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতা দূর করতে হবে -তথ্যমন্ত্রী

odhikar patra | প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:৪০

odhikar patra
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:৪০

 

চট্টগ্রাম শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতা ও শিশুর প্রতি নির্মমতা দূর করতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে শিশুদের মাঝে মেধা, দেশাত্ববোধ ও মূল্যবোধের জাগ্রত করতে হবে। তাহলেই শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০২১ ও ৪১ সালের ভিশন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো।

তিনি বলেন, আমরা একটা স্বপ্নের বাংলাদেশের কল্পনা করি। প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপকল্প আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। সেই ধরণের দেশ যদি গঠন করতে হয় তাহলে সেই ধরণের মানুষ প্রয়োজন। সেই ধরণের মানুষ মেধাসম্পন্ন, বুদ্ধিদীপ্ত, মূল্যবোধে উন্নত ও দেশাত্ববোধে জাগ্রত। মূল্যবোধ, দেশাত্ববোধ ও মেধার সমন্বয় যদি একটি মানুষের মধ্যে ঘটে তাহলে সে উন্নত হয়ে উঠে। আর এই সমন্বয় ঘটানোর সময় হচ্ছে শিশু ও তরুণ বয়স। সেই কাজটি আমাদেরকে করতে হবে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসকল কথা বলেন। উপজেলা সদরের শিশু মেলা মডেল স্কুল মাঠে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আজহারুল হক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশীদ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যা হচ্ছে নারী। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলোর কাছে অতিক্রান্ত। আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন যেভাবে পৃথিবীর কম উন্নয়নশীল দেশে হয়েছে। সমস্ত স্থানীয় সরকার পর্ষদে নারীর জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার আগে এভাবে কেউ ভাবেনি স্থানীয় পর্যায়ে এভাবে নারীর ক্ষমতায়ন হবে। এখন নারীরা বিমান চালাচ্ছেন, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, নারী ডিসি, এসপি, মেজর জেনারেল হবে কেউ চিন্তা করেনি। এসব সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে।

মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে সফল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা অর্জন করেন তখন গড় আয়ু ছিল ৪৪ বছর। বর্তমানে আমাদের দেশের গড় আয়ু ৭৩ বছর। ভারতে ৭১ বছর, পাকিস্তানে ৬৯ বছর। এটা সম্ভব হয়েছে নারী ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর কারণে।

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জিএম নিতাই কুমার ভট্টাচার্য্য, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
#
মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ
সিনিয়র তথ্য অফিসার
০১৭৬৩৭৭০২০৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: