
একটি বাচ্চা বড় হয়ে কেমন মানুষ হবে তা প্রায় পুরোপুরি নির্ভর করে তার পরিবারের উপর। বাবা মার দায়ীত্ব ছোটবেলা থেকে শিশুকে শারীরিক বিকাশের সাথে সাথে সুস্থ মানষিকতা নিয়ে বড় হয়ে উঠতে সাহায্য করা। একটি বাচ্চার মানষিক বিকাশের জন্য সবসময় ইতিবাচক বিষয়গুলোর উপর জোর দেয়া দরকার। যেমন আমরা যখন বাচ্চাদের সাথে খুব সাধারণ বিয়য় নিয়ে কথা বলি তখনও আমাদের তা খেয়াল রাখতে হবে। এখানে সেরকম একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে যেমন বাবা অথবা মা সারাদিন কাজ শেষে বাড়ি ফিরেছেন, তখনও সব কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি, সঙ্গত কারনেই মেজাজটাও ঠিক নেই! কিন্তু বাচ্চার সামনে তা প্রকাশ করা চলবে না। আজ আমি খুব ক্লান্ত হয়ে আছি না বলে বলতে হবে ---- আজ সারাদিন অনেক কাজ করেছি যদিও সব শেষ হয়নি, আশা করি কাল সেগুলো শেষ করবো। এরকম ইতিবাচক মনোভাবে উদাহরণ সবসময়ই আমরা বাচ্চার সামনে রাখতে পারি। ঠিক সেরকম বাচ্চাকে কিছু বোঝানোর জন্য প্রথমেই 'না' না বলে যুক্তি দিয়ে নরম গলায় বোঝাতে হবে কেন না বলা হচ্ছে। বাচ্চাদের যে কোন মতামতকে ঠিক বড়দের মতই সন্মান করতে জানতে হবে। হোক সেটি ঠিক অথবা ভুল। ভুল হলে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সেটি সোধরাবার দায়ীত্ব বাবা মা এবং বড়দের। শৈশবেই বাচ্চাদের মনে সুস্থ মানষিকতার বীজ বুনে দিতে পারলে তার প্রতিফলণ ঘটবে তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। (তথ্য সংগৃহীত )
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: