odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলা সাহিত্যে এক যুগপ্রবর্তক কবি-খাদ্যমন্ত্রী

Biplob | প্রকাশিত: ৯ December ২০১৯ ১১:১৪

Biplob
প্রকাশিত: ৯ December ২০১৯ ১১:১৪

আপেল মাহমুদ,নওগাঁ প্রতিনিধি :খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলা সাহিত্যে এক যুগপ্রবর্তক কবি। সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে নজরুলের অগ্নিমন্ত্র বাঙালী জাতির চিত্তে প্রেরণা ও আত্মশক্তিতে উদ্বুদ্ধ হওয়ার সুকঠিন সংকল্প জাগিয়েছিল।

কবি স্বদেশ প্রেম, স্বদেশ বন্দনা, স্বদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষণ এবং স্বদেশকে অন্য সকল কিছুর উর্ধ্বে স্থান দিয়েছিলেন। তাঁর দেশ বন্দনা, দেশ প্রশান্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বহু আগে থেকেই বাঙালী জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল। তাঁর লেখনী চিরদিনই শোষণ-বঞ্চনা, অন্যায় অত্যাচার, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ও গোঁড়ামীর বিরুদ্ধে আপোষহীন ছিল।

খাদ্যমন্ত্রী রবিবার দুপূরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে তিনদিনব্যপী জাতীয় নজরুল সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন। নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কবি নজরুল ইনষ্টিটিউট এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বর্তমানে রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নাটোর-এর প্রফেসর ও ডীন ড. সাইফুদ্দীন চৌধুরী ও নওগাঁ’র ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক।

এ অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন নজরুল গবেষক ও এশিয়ান ইনষ্টিটিউট অব বাংলাদেশের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন বিভাগী প্রধান ড. সৈয়দা মোতাহের বানু । তাঁর আলোচনার বিষয় ছিল সামজ বিনির্মাণে নজরুল সাহিত্য। এ ছাড়াও এ অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়, নাটোর-এর রেজিষ্ট্রার কে এম আব্দুল মোমিন এবং নওগাঁ সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর শরিফুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি নজরুল ইনষ্টিটিউটের সচিব ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগ্রহ, অনুপ্রেরণা এবং উদ্যোগে বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে আনা সম্ভব হয়েছিল। তাঁরই সদিচ্ছায় কবিকে জাতীয় কবির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ কবিকে স্বাগত জানিয়েছেন, ভালোবেসেছেন। আজও কবির সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধি সৌকর্যের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আছে।

তিনদিনব্যপী এই সম্মেলনে রয়েছে জেলার ৫০ জন শিল্পীকে নজরুল সংগীতের শুদ্ধ বাণী ও সুরে নজরুল সংগীতের প্রশিক্ষক সৃজনের লক্ষে প্রশিক্ষণ প্রদান, জাতীয় ও স্থানীয় শিল্পীদের সমন্বয়ে সংগীতানুষ্ঠান ও নৃত্যানুষ্ঠান, শহরের নওগাঁ সরকারী কলেজ ও নওগাঁ সরকারী বিএমসি মহিলা কলেজে পৃথক দু’টি আলোচনা সভা, পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ এবং জেলার ১০টি স্কুলে পৃথক পৃথক প্রতিযোগিতার আয়োজন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানস্থলে প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রন্থমেলা’র আয়োজন করা হয়েছে।

পরে মন্ত্রী জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত মুজিব শতবর্ষ পালন, বুদ্ধিজীবি দিবস ও বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমুলক সভায় যোগ দেন। এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: